২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিতর্কিত হলেও শপথ ভঙ্গ হয়নি বলে মনে করেন ওই সময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) দায়িত্ব পালন করা কে এম নুরুল হুদা। বিতর্কিত নির্বাচনের জন্য কমিশনকে দায়ী করা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। অনিয়মের নির্বাচনের অভিযোগের মামলায় গতকাল সোমবার আদালতে রিমান্ড শুনানিকালে এসব মন্তব্য করেন নুরুল হুদা। তাকে পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে জামিনের আবেদন নাকচ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলানগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব।
গত রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরায় ৫ নম্বর সেক্টরে একদল লোক নুরুল হুদার বাসা ঘেরাও করেন। একপর্যায়ে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়, যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এরপর পুলিশ এসে নুরুল হুদাকে হেফাজতে নেয়। এর আগে সকালে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে দুপুরে নুরুল হুদা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনকে আসামি করে রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানায় একটি মামলা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান। নুরুল হুদাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গতকাল তিনটার দিকে নুরুল হুদাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালত এলাকায় আনা হয়। কিছুক্ষণ হাজতখানায় রাখার পর বিকেল চারটার দিকে তাকে আদালতে তোলা হয়।
শুনানিকালে বিচারক তাকে প্রশ্ন করেন, বিতর্কিত নির্বাচনের কারণে আপনার শপথ ভঙ্গ হয়েছে কি না? জবাবে নুরুল হুদা বলেন, শপথ ভঙ্গ করি নাই। বিচারক বলেন, আপনি কি মনে করেন সবাই ভোট দিতে পেরেছে? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ নির্বাচন করেছি, কোনো পক্ষপাতিত্ব করিনি। আমরা কমিশনে মাত্র পাঁচ জন। আমাদের লোকসংখ্যা কম। তাই দেশের সব জায়গার খোঁজ রাখা সম্ভব হয় না। তবে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আরপিওর বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়ে গেলে আমাদের কোনো দায়িত্ব থাকে না। তখন কারও অভিযোগ থাকলে হাইকোর্টে যেতে হয়। অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা হাইকোর্টের।’ এ সময় নুরুল হুদা রাষ্ট্রপক্ষের শুনানির যুক্তি খন্ডন করে বলেন, ‘ডিসি-এসপিকে টাকা দেওয়ার সুযোগ নাই। আর নির্বাচন নিয়ে বিতর্কের জন্য কমিশনকে দায়ী করা যায় না।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে সংসদ নির্বাচনী পদ্ধতি চালু ছিল, তা বাতিল করা হয়। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনাসহ তার সরকার ক্ষমতায় এসে তিনি (শেখ হাসিনা)-সহ তার মন্ত্রিপরিষদ, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ক্যাডাররা বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতা-কর্মীদের অপহরণ, গুম, গুরুতর জখম, হত্যা ও বিভিন্ন উপায়ে নির্যাতন শুরু করে।
অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কে এম নুরুল হুদাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। ২০১৮ সালে পুনরায় সংসদ সদস্যদের মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় শেখ হাসিনা প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার মাধ্যমে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের অবৈধ সরকারের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশন সংস্কারের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানায় এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে থাকে। বিভিন্ন দেশের দূতাবাস, সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করেন, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা দরকার, তাই তিনি করবেন। তার এই আশ্বাসে বিএনপিসহ সব দল ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপিসহ বিভিন্ন দল মিলে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়। নির্বাচন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেলে অনেক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের বাধার সম্মুখীন হন। বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা প্রচারে বের হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনের ক্যাডারদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হন, গুরুতর জখম হন, গাড়ি ভাঙচুর হয় এবং ভোটের প্রচারে বাধা দেওয়া হয়। পরিতাপের বিষয় যে, নুরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সেই সময় কোনোপ্রকার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার মিলে সম্পূর্ণভাবে জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সংবিধানের পরিপন্থী কাজ করেন। তৎকালীন অবৈধ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনাসহ নির্বাচন কমিশনাররা পূর্ণ সহায়তা করে অবৈধভাবে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচন সমাপ্ত করার পরিকল্পনা করেন। কমিশনাররা ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্পূর্ণভাবে জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সংবিধানের পরিপন্থী কাজ করে এবং নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিতদের দিয়ে রাতে ব্যালট বক্স ভর্তি করে রাখে এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করে। এই কাজের জন্য তিনি (নুরুল হুদা) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা গ্রহণ করেন।
মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব) বলেছেন, তার ওপর (সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার) মব জাস্টিস করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার সঙ্গে যা হয়েছে মানে গলায় যেটা পরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটাও কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়। এমন কোনো কিছু থাকলে আমাদের জানাবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রপার অ্যাকশন নেবে।
গতকাল সোমবার সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মব জাস্টিস করার সময় দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই ওনার (একেএম নূরুল হুদা) ওপর হামলা করা হচ্ছে। এটার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত করে দেখব কারা জড়িত। এর সঙ্গে যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকে। তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মব জাস্টিস বন্ধের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাড়ানো হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হবে না। কিন্তু তাদের অ্যাক্টিভেটিস বাড়ানো হবে। যেন কোনোভাবেই এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। আর ওই জায়গা থেকে চারজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, আগের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু তিনি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। তবে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা। তিনি গত রবিবার ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
কৃষি জমি দখলের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমরা কৃষি জমি সুরক্ষা একটি আইন করতে যাচ্ছি। এটি ‘কৃষি সুরক্ষা’ আইন যাতে কৃষি জমি দখল না হয়। আমাদের দেশ থেকে অনেক দেশি ফল হারিয়ে যাচ্ছে। তাই সবাইকে সচেতন করবেন যাতে দেশি ফলে গাছ সবাই বেশি করে লাগায়। এজন্য বিদেশি ফলের সঙ্গে সঙ্গে দেশীয় ফল চাষের জন্য লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানাই।
এর আগে তিনি সকাল সাড়ে ১০টায় মৌচাক হর্টিকালচার সেন্টারে প্রবেশ করে পরিদর্শন করেন। পরে তিনি টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে তিনি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার (পিটিসি) পরিদর্শন এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।
টাঙ্গাইলে স্বরাষ্ট্র আবারও বলেন, দেশে এখন মব নেই। যারা মব সৃষ্টি করছে আমরা তাদের আইনের আওতায় আনব এবং মব সৃষ্টিতে পুলিশ বাহিনীর কোনো ভুল থাকলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আগামী নির্বাচনে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে সে বিষয় নিয়ে পুলিশদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। নির্বাচন তো অনেক দূরে, তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। তা ছাড়া আগের তুলনায় পুলিশ ভালো কাজ করছে।
এ সময় মহড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্ট্রার পরিদর্শনকালে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তারা এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।
মব জাস্টিসের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দিয়েছে সরকার : সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে ‘মব’ তৈরি করে হেনস্তার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, সরকার এ ঘটনায় শুধু একটা বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানায়নি। সরকার এই কথাটাও বলেছে, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব পরিবেশ দিবসকে সামনে রেখে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আমরা খুব একটা আদর্শ পরিবেশে দায়িত্ব গ্রহণ করিনি। আমরা এর লোক, ওর লোক সব সময় শুনি। সে অর্থে আমাদের ইস্যুভিত্তিক কাজ করে যেতে হচ্ছে। বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি যতটা নন-ভায়োলেন্ট উপায়ে পারা যায়, সব বিক্ষোভ অ্যাড্রেস করতে। আশা করছি, সহনশীলতা রাষ্ট্রপর্যায় থেকে আসছে। রাষ্ট্রপর্যায় থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সহনশীলতা এবং কার্যকর উদ্যোগ এটার সমন্বয়েই আমরা আইনের শাসনের দিকে এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘যে মব জাস্টিস ঘটল, মব অ্যাটেম্পট যেটা ঘটল, এর তীব্র নিন্দা জানাই। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও বলেছেন, এ ব্যাপারে যারা দায়ী, তাদের ব্যাপারেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।’
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরে আসতে শুরু করেছে। দ্বীপটি নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান করা যায় কি না, চিন্তাভাবনা চলছে। জলবায়ু ট্রাস্ট থেকে এজন্য একটি প্রকল্প নেওয়ার উদ্যোগ চলছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে কোনো আশঙ্কা থাকার কথা নয়। এটিকে বাঁচানো দরকার। দ্বীপটি বাঁচাতে পারলেই সব আশঙ্কা দূর হয়ে যাবে।
প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন টাঙ্গাইল ও কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি