বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

দুটি ইসলামী ও একটি নবীন দল নির্বাচন নিয়ে যড়যন্ত্র করছে: প্রিন্স

আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম

দুইটি ইসলামী ও একটি নবীন দল বিএনপির বিরুদ্ধে অপ্রচার এবং নির্বাচন প্রলম্বিত করতে যড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকালে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রখছিলেন। 

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপি কচু পাতার ওপর পানি না, যে টোকা দিলেই পড়ে যাবে। বিএনপি হিমালয়ের মতো শক্তিশালী ও একই সঙ্গে জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল। জনগণের ভেতরে এই দলের শেকড়। বিএনপি সর্ম্পকে অপ্রচার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

এক কাউয়া পালিয়ে গেছে, আরেক কাউয়ার দেখা মিলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নবীন দলের কেউ কেউ আগামী নির্বাচনে চারশত আসনের মধ্যে তিনশত আসন নিজেদের দখলে রাখার আর বিএনপিকে ছাড় দিয়ে পঞ্চাশ থেকে একশত আসন দেবার কথা বলছেন। তাদেরকে বলব এতই যখন আত্মবিশ্বাস, আর দেরি না করে আগামী তিন মাসের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে বলুন সরকারকে, জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করুন, দেখুন জনগণ কী চায়। 

‘পাগলের সুখ মনে মনে’ প্রবাদটি উল্লেখ করে বিএনপির এ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যারা জীবনে ভোট দেয় নাই , জনগণের কাছে ভোট চায় নাই তারা কিনা ভোট ও রাষ্ট্র পরিচালনার পদ্ধতি ঠিক করে! কী সেলুকাস! বিএনপি অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতার নিরিখে কথা বলে।

নির্বাচনকে প্রলম্বিত ও অনিশ্চিত করার যড়যন্ত্র এখনও শেষ হয় নাই এমন শঙ্কা প্রকাশ করে প্রিন্স বলেন, যারা লন্ডনে ড. মুহম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের ফলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের টাইমলাইন নির্ধারণে খুশি হতে পরে নাই, নির্বাচন হলে তাদের গুরত্ব কমে যাবে। এই আশঙ্কায় তারা সমস্বরে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত এবং একইসঙ্গে নির্বাচনকে প্রলম্বিত করতে ব্যস্ত। তারা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে ব্যবহার করে পরিস্থিতি জটিল করতে তৎপর। দলের সংখ্যা নয়, বাস্তবতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের বৃহত্তর স্বার্থে বিএনপি যেকোনো সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পরে, রাষ্ট্র মেরামতের একত্রিশ দফা তার বড় প্রমাণ।

কর্মী সমাবেশে তিনি ভোগ নয় ত্যাগ ও নিঃস্বার্থ জনসেবার মানসিকতা নিয়ে নেতাকর্মীদের রাজনীতি করার আহ্বান জানান। ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার হিসাব কষলে রাজনীতিতে সফল হওয়া যাবে না বলে সতর্ক করে দেন তিনি।

পোড়াকান্দুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মনিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মফিজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, ফরহাদ রব্বানী সুমন, আবদুল কুদ্দুস, হাবিবুর রহমান, সোলায়মান সরকার আবদুল ওয়াহেদ তালুকদার, জাকিরুল ইসলাম টোটন, গাজিউর রহমান, হুমায়ূন কবীর সরকার, আবদুল মোমেন শাহীন, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আলী হোসেন, জামাল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, সাইদুর রহমান বাদশা, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মওলানা ওবায়দুল্লাহ, জেলা যুবদল নেতা নয়ন মিয়া, উপজেলা তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাসান শাহ, ধোবাউড়া কলেজ ছাত্র দলের সদস্য সচিব মামুন হাসান, পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রিপন হাসান, যুবদল নেতা বাবুল মিয়া, মোশারফ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন, সবুজ খান, গোলাম রব্বানী, ইমন মিয়া, শকত হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ধোবাউড়ায় বিগত ১৮ জানুয়ারি জিয়া জন্মোৎসবে চক্ষুশিবিরে দ্বিতীয় ধাপে বিনামূল্যে অপারেশনকৃত সুবিধাবঞ্চিত অসহায় মানুষদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তিনি তাদের সকলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

এছাড়াও তিনি ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন বিভিন্ন সমস্যা বিষয়ে অবহিত হন। তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্তমান পরিস্থিতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবায় মনযোগী হতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি হাসপাতালে জেনারেটর ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত