প্রতিবন্ধী শিশু জন্মের অন্যতম কারণ সেরিব্রাল পালসি বা মস্তিষ্কে পক্ষাঘাত। গর্ভধারণের সময় থেকে শিশুর জন্ম পর্যন্ত গর্ভবতী নারী সচেতন না থাকলে সন্তান পক্ষাঘাতগ্রস্ত হতে পারে।
বিশ্বে প্রতি ৫০০ শিশুর একজন মস্তিষ্কে পক্ষাঘাত নিয়ে জন্ম নেয়। বাংলাদেশ-ভারতের মতো দেশে এই ধরনের রোগে যেসব শিশু ভুক্তভোগী হয়, তাদের মধ্যে ১৪ জনের ১৩ জন গর্ভাবস্থায় অথবা জন্মের প্রথম মাসে এতে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
লক্ষণ
জন্মের সময় শিশু সাধারণত নেতানো বা শিথিল হয়ে থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক ভাবে নাও নিতে পারে, সমবয়সী অন্য শিশুদের তুলনায় ধীর গতিতে বিকাশ হতে পারে।
শিশুর হাত-পা স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার না করা, বুকের দুধ ও ফিডার চুষে খাওয়াতে শিশুর সমস্যা থাকতে পারে। খুব কাঁদতে পারে বা অস্থির ও খিটখিটে হতে পারে অথবা খুব শান্তও হতে পারে।
শিশুর ভাব বিনিময়ে সমস্যা থাকতে পারে। শ্রবণ ও দৃষ্টিতে সমস্যা থাকতে পারে। শিশুর খিচুনি বা মৃগী সমস্যা থাকতে পারে। অশান্ত আচরণ করতে পারে। অনুভূতিতে সমস্যা থাকতে পারে যেমন- ঠান্ডা, গরম, ব্যথা, স্পর্শ বা শারীরিক অবস্থানের অনুভূতি।
গর্ভবতী মায়ের সচেতনতা
হাত সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়মিত চেকআপ করাতে হবে। ফ্লু থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে। রক্ত চলাচল, তার সামঞ্জস্য ঠিক আছে কি না তা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। রুবেলা ভাইরাস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে।
নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। ধূমপান, কিংবা অ্যালকোহল গ্রহণ করা যাবে না। যথাসময়ে টিকা নিতে হবে। একাধিকবার গর্ভবতী হওয়া থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
সেরিব্রাল পালসি মানেই জীবনের শেষ নয়। সঠিক শিক্ষা, সচেতনতা, ভুক্তভোগীর প্রতি বাবা-মায়ের স্নেহ এই রোগীর সমস্যাকে অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে।