ঢাকার পোস্তগোলা শ্মশানঘাটে মাটিচাপা দেওয়া মৃত এক নবজাতককে তুলে মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগে পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অলৌকিক শক্তির আশায় পাঁচ কিশোর এ ‘বীভৎস’ কাণ্ড করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার জন্মের আধা ঘণ্টার মধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বী রবীন্দ্র ও পুষ্পিতার সন্তানের মৃত্যু হয়। এরপর ধর্মীয় বিধান মতে তাকে পোস্তগোলা শ্মশানে সমাহিত করা হয়।
শ্যামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ীর নবজাতক সন্তান মারা গেলে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শ্যামপুর শ্মশানঘাটে তাকে সমাহিত করা হয়। এরপর রাত ২টার দিকে ওই পাঁচ কিশোর শ্মশানে গিয়ে নবজাতকের মৃতদেহ তুলে ফেলে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুটির মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর ছিন্ন মাথাটি ঘিরে তারা আরাধনা শুরু করে।
ওসি আরও জানান, ওই পাঁচ কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হবে।
শ্যামপুর পোস্তগোলা শ্মশানঘাট পরিচালনা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বি কে সমীর জানান, নবজাতক মারা গেলে সোমবার বেলা ৩টার দিকে পোস্তগোলা শ্মশানঘাটে সমাহিত করা হয়। এরপর রাত ২টার দিকে কিছু উচ্ছৃঙ্খল সনাতন ধর্মাবলম্বী তরুণ সমাহিত ওই নবজাতককে তুলে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করে। পরে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত তাদের আটক করে শ্যামপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় শ্মশানের মোহর পলাশ চক্রবর্তী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।