জাঙ্ক ফুড ও অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে বিরত রাখা এবং পুষ্টিমান সম্পন্ন নানান ধরনের ফলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে বুধবার পঞ্চগড় সরকারি মিলনায়তন চত্বরে আত্ম মানবতার সেবায় নিয়োজিত অলাভজনক সংগঠন ‘রঙধনু ফাউন্ডেশন’ রঙিন ফলে বর্ণিল উৎসব,ফলে ফলে মধুমাস উদযাপন স্লোগান নিয়ে বাহারী এই ফল উৎসবের আয়োজন করে।
উৎসবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রদর্শিত অর্ধ শতাধিক দেশি-বিদেশি ফল প্রদর্শন করা হয়। ফল প্রদর্শনের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের গুণাগুণ সংবলিত ফেস্টুন মেলা প্রাঙ্গণে প্রদর্শন করা হয়।
বুধবার সকালে ফিতা কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলওয়ার হোসেন প্রধান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন। উদ্বোধনের পর অতিথিরা উৎসবে অংশ নেয়া স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। পরে অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সারোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা। সভায় বক্তারা বিভিন্ন ফলের গুণাগুণ বিষয়ে বক্তব্য দেন।
ফল উৎসব নিয়ে মুখ ভরা হাসি নিয়ে পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শবনম আকতার বলেন, আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, কলা ছাড়াও ড্রাগন, করমচা, গোলাপজাম, জাম, জামরুল, খেজুর, বেল, কমলা, মালটা, কাজু-কাট বাদাম,আলু বোখরা, আনারস, কাটলিচু, কিসমিস, জায়তুন, পিচফল ও আতাসহ কত রকমের যে অপরিচিত ফল আজ দেখেছি ভাবাই যায় না, অনেকগুলো খেয়েছি।
কথা শেষ হতে না হতেই পঞ্চগড় বিপি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির রেজওয়ান রূপক বলে উঠে বেত, সফেদা, করমচা, জামরুল এর আগে কোনোদিন অনেক ফল দেখিওনি, খাইওনি। আজ দেখেছি, খেয়েছি।
কেমন লেগেছে জানতে চাইলে তারা বলে, একেকটার স্বাদ একেক রকম, তবে ভালো লেগেছে।
শহুরে পরিবেশে বেড়ে ওঠা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনেককেই এ ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার জানান, ফলকে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং ফলের গুণাগুণ জানাতেই এই ফল উৎসবের আয়োজন।
পঞ্চগড় এম, আর সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, এবিএম মহিউদ্দিন জানান,‘আমাদের স্টলে প্রায় অর্ধশত প্রজাতির ফল দেখানো হচ্ছে। নতুন ও অপরিচিত ফল নিয়ে মানুষের আগ্রহ ব্যাপক। সবাই আসছেন, প্রশ্ন করছেন, আমরা উত্তর দিচ্ছি।’