কামরাঙ্গীরচরে গৃহবধূ রোজিনা হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মালা সাহা ও সঞ্জিত সাহা ওরফে আকাশ। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত লুকিং গ্লাসের অংশ বিশেষ, বোরকা, হিজাব ও শাড়ি উদ্ধার করা হয়।
গতকাল রবিবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার খোলামোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব-উজ-জামান।
উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ) জানান, রোজিনা দেড় বছর আগে নওমুসলিম সঞ্জিত সাহা ওরফে আকাশকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে চার মাস বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিছুদিন পর রোজিনা জানতে পারেন তার স্বামী পূর্বে আরো একটি বিয়ে করেছেন। সেই ঘরে আরো দুটি সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে রোজিনা, আকাশ ও তার প্রথম স্ত্রী মালা সাহার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। রোজিনা তার সন্তানকে নিয়ে কামরাঙ্গীরচরের বড়গ্রাম ওয়াপদা মসজিদ সংলগ্ন হাজী মো. বদরুদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত শুক্রবার সন্তানকে নিয়ে শোয়ার ঘরে অবস্থান করছিলেন রোজিনা। সেদিন তার স্বামী আকাশের যোগসাজসে শোয়ার ঘরে ঢুকে মালা ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি রোজিনার গালের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে তাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যান মালা।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় রবিবার রোজিনার বাবা কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের অবস্থান নিশ্চিত করে কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবাগ) জানান, অভিযুক্ত মালা সাহা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন দাম্পত্য কলহের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রোজিনাকে হত্যা করে।