লিভারপুল ০ : ১ ক্রিস্টাল প্যালেস
দুই রাউন্ড আগেই শীর্ষে ছিল লিভারপুল। ম্যান ইউনাইটেডের সঙ্গে ড্র তাও মানা যায়। কিন্তু ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে হার! যে দলটিকে আগের রাউন্ডেই ম্যানসিটি হারিয়েছিল, তাদের কাছে ১-০ গোলে হারে শিরোপা স্বপ্নে বড় ধাক্কা খেলো লিভারপুলের।
৩২ ম্যাচে লিভারপুলের পয়েন্ট ৭১, পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান তৃতীয়। ম্যানসিটির পয়েন্ট ৭৩, ৩১ ম্যাচে আর্সেনালের ৭১। তারা আজ রাতেই অ্যাস্টন ভিলার সংগে ৩২তম ম্যাচ খেলবে।
দীর্ঘসময় ধরে লিগ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা লিভারপুলের দুঃসময়ের শুরু গত সপ্তাহে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ২–২ ড্র, এর চার দিন পর ইউরোপা লিগের ম্যাচে আতালান্তার কাছে ৩–০ গোলে হার। তবে এরপরও যে লিভারপুল ক্রিস্টালের কাছে হারতে পারে, এমন শঙ্কিত সমর্থক ছিলেন খুব কমই। কারণ অ্যানফিল্ড তো বটেই, এই ক্রিস্টালের বিপক্ষে ২০১৭ সালের এপ্রিলের পর কোনো ম্যাচই হারেনি লিভারপুল (১৩ ম্যাচের ১১টি জয়, ২টি ড্র)।
ম্যাচে ১৪ মিনিটেই প্যালেস এগিয়ে যায় ঈগলরা এবেরেসি এজের গোলে। এবারের লিগে লিভারপুলের জন্য আগে গোল হজম করা নতুন কিছু নয়, নয় ঘুরে দাঁড়ানোও। কিন্তু আতালান্তার কাছে হারের স্মৃতি নিয়ে মাঠে নামা লিভারপুল প্রথমার্ধে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বল দখলে ছিল বেশি, প্যালেস রক্ষণে হানাও হয়েছে বারবার, কিন্তু গোলের মুখ খোলা যায়নি।
বিরতির পর মোহাম্মদ সালাহ, দারউইন নুনিয়েজ, লুইজ দিয়াজরা আক্রমণের ধার বাড়ান। এ সময় গোলের জন্য ১৪টি শট নিয়েছে লিভারপুল, তিনটি লক্ষ্যেও ছিল।
রয় হজসনের দল গোল মিস না করলে আরও বাজেভাবেই হারত লিভারপুল। ১৭ মিনিটে ফন ডাইক পা পিছলে পড়ে গেলে প্যালেস স্ট্রাইকার জ্যাঁ–ফিলিপে মাতেতা অ্যালিসনকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন। বল গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দিলেও শেষমুহূর্তে গোললাইন থেকে বল ফেরান অ্যান্ড্রু রবার্টসন। ৭৪ মিনিটে মাতেতার কাছ থেকে নেওয়া শট প্রতিহত হয় অ্যালিসনের হাতে।
তবে গোল ব্যবধান শেষ পর্যন্ত যেমনই হোক, লিভারপুলের কাছে হারটাই সবচেয়ে বড় যন্ত্রণার। শিরোপা–দৌড়ের লাগাম যে এখন নিজেদের হাতে নেই!