এবারের ইউরোর মরণ গ্রুপ হলো 'বি'। ইতালি, আলবেনিয়ার সঙ্গে থাকা গ্রুপের বাকি দুই বড় দল স্পেন ও ক্রোয়েশিয়া মুখোমুখি হয় বার্লিনের অলিম্পিয়াস্তাদিওতে। পুরো ৯০ মিনিট চোখ জুড়ানো ফুটবল উপহার দিয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তুলে নেয় তিনবারের ইউরোজয়ী স্পেন।
সবকটি গোলই আসে খেলার প্রথমার্ধে। যেখানে একচেটিয়া দাপট দেখায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়াটরা ফিরে এলেও পেরে ওঠেনি স্পেনের দলীয় সমন্বয়ের সঙ্গে।
আলভারো মোরাতা, ফাবিয়ান রুইজ ও দানি কারভাহালের করা তিন গোলেই মীমাংসা হয় খেলার। ১৬ বছর ৩৩৮ দিন বয়সে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে ইউরো অভিষেকের ম্যাচে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান লামিন ইয়ামাল।
শুরুতে ছোট পাসে খেলা জমানোর চেষ্টা করছিলেন লুকা মদ্রিচরা। কিন্তু ৪ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ক্রোয়াটদের পিছে ঠেলে দেয় স্পেন। ২৮ মিনিটের মাথায় স্পেনকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক আলভারো মোরাতা। মাঝমাঠে বল পেয়ে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ ভেদ করে পাস বাড়ান রদ্রি। ওই বল ধরে বক্সে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় বাঁ পায়ের শটে গোল করেন মোরাতা। শীর্ষ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এটি তার দশম গোল, ইউরোর সপ্তম। ইউরোয় মোরাতার চেয়ে বেশি গোল আছে শুধু মিশেল প্লাতিনি (৯) ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর (১৪)।
৩২তম মিনিটে জালের দেখা পান রুইজ। পেদ্রির থেকে পাস নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে চমৎকার গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে ইয়ামাল বার বার ক্রোয়াট ডিফেন্স ভেঙে দিচ্ছিলেন আর স্পেনও চালাচ্ছিল একের পর এক আক্রমণ।
বিরতির ঠিক আগে যোগ করা সময়ে ফলস নাইন পজিশন থেকে ইয়ামালের ক্রসে পা ছুঁইয়ে স্পেনের তৃতীয় গোলটি করেন কারভাহাল।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১০ মিনিট গোল শোধে মরিয়া ক্রোয়েশিয়া মুহুর্মুহু আক্রমণ হানে স্পেনের রক্ষণে। ৫৫ মিনিটে সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগটি পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন তারা।
৭৮ মিনিটে বক্সে পেটকোভিচকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া। স্পট থেকে পেটকোভিচের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোন। ফিরতি বল থেকে গোল করেন পেটকোভিচ। কিন্তু কপাল মন্দ। ভিএআরে ধরা পড়ে ক্রোয়েশিয়ার এক ফুটবলার ছিলেন অফসাইডে। বাকি সময়টুকুও পেরোয় গোলহীনভাবে।