সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা চার দফা থেকে সরে এখন এক দফা দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। তাদের দাবি, সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
এ দাবিতে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা আজ সোমবারও ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির পালন করছেন। বিকেল সাড়ে তিনটার পর থেকে রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, বাংলামোটর, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল মোড় ও কারওয়ানবাজারে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানী জুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বিকেল পাঁচটার দিকে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে বাংলামোটর মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে মোড়ের চারদিকে আটকা পড়েছে অসংখ্য যানবাহন। যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলসহ সিএনজি ও রিকশাচালকরাও আটকা পড়েছেন। এতে ভোগান্তি বেড়েছে অফিস ফেরত মানুষদের। দীর্ঘ যানজট হওয়ায় অনেক রিকশাচালককে রিকশার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়তে দেখা গেছে।
শেরপুর থেকে ঢাকায় রিকশা চালাতে এসেছেন রবিউল ইসলাম। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘দুপুরের পরে কমলাপুর থেকে ভাড়া নিয়ে ঝিগাতলায় যাই। তারপর সেখান থেকে ভাড়া নিয়ে ফের কমলাপুর যাওয়ার পথে বাংলামোটর মোড়ে আটকা পড়ি। দুপুরের পর থেকে মাত্র ২০০ টাকা ইনকাম হয়েছে। এখন আন্দোলন কতক্ষণে শেষ হবে তা বলতে পারছি না। তবে আন্দোলন চললে আমাদের খুব ক্ষতি হয়। ১৭০ টাকা রিকশা জমা দিতে হবে। এই নিয়ে আমি চিন্তায় আছি।’
তিনি আরও বলেন, এসব রাজনীতি আমরা বুঝি না। তবে সবসময়ই আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হই। তিনদিন অসুস্থ থাকার পর আজ রাস্তায় নেমেছি, কিন্তু আজও ইনকাম ছাড়াই ঘরে ফিরতে হবে।
তৈয়ব আলী নামের আরেক রিকশাচালক দেশ রূপান্তরকে বলেন, আমি ভাত খেতে পান্থপথে যাবো। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাকে যেতে দিচ্ছে না।'
তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাষ্ট্র মেরামতের কাজ চলছে, তাই সাময়িক দুর্ভোগ ও কষ্টের জন্য আমরা দুঃখিত।