ফুটবল ঘরে ফিরলো, তবে তা স্পেনের ঘরে। বার্লিনের ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে রেকর্ড চতুর্থ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলো স্প্যানিশরা। যদিও মাঝে মনে হয়েছিল যে ইংল্যান্ড হয়তো ম্যাচটা বের করে নিতেও পারে অযৌক্তিকভাবে।
গোলশূণ্য প্রথমার্ধের পর ৪৭ মিনিটে নিকো উইলিয়ামসের গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। ৭৩ মিনিটে বদলী কোল পালমারের গোলে ইংল্যান্ড সমতা ফেরালেও শেষ রক্ষা হয়নি। ৮৬ মিনিটে আরেক বদলী খেলোয়াড় মিকেল ওয়ারজাবালের গোলে বাজিমাত করে দেয় স্পেন। ১২ বছর পরে আবার ইউরোপের সেরা দেশ হল তারা।
এদিকে আরও এক বার ফাইনালে উঠে হারল ইংল্যান্ড। গতবার ঘরের মাঠে হারতে হয়েছিল ইতালির কাছে। এবার স্পেন স্বপ্নভঙ্গ করল হ্যারি কেইনদের। এখনও প্রথম ইউরোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাঁদের।
ফাইনালে স্পেন খেলতে নেমেছিল তাদের পরিচিত ৪-২-৩-১ ছকে। ইংল্যান্ডের ছক ছিল ৩-৪-২-১। তিন জন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারে শুরু করলও কয়েক মিনিটের মধ্যে বদলে যায় ইংল্যান্ডের সে ছক। স্পেনের লাগাতার আক্রমণের চাপে ৪-৪-২ ছকে চলে যায় ইংল্যান্ড। স্পেন যখন আক্রমণে উঠছিল, তখন ইংল্যান্ডের আট জন রক্ষণে নেমে যাচ্ছিলেন। শুধুমাত্র হ্যারি কেইন ও জুড বেলিংহ্যাম সামনে ছিলেন।
শুরু থেকেই স্পেনের পায়ে ছিল বল। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাস খেলে দুই প্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠছিল তারা। বাঁ প্রান্তে নিকো উইলিয়ামস ও কুকুরেয়া এবং ডান প্রান্তে দানি কারভাহাল ও ইয়ামাল আক্রমণ তুলে আনার দায়িত্বে ছিলেন। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে উইলিয়ামস দু’বার ইংল্যান্ডের বক্সে ঢুকে পড়েন। কিন্তু গোল করতে পারেননি। সেই সময় পুরো রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ড। তারা প্রথম আক্রমণ করে ১৫ মিনিটে। ডান প্রান্ত ধরে ওঠেন কাইল ওয়াকার। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। তবে কিছুটা হলেও খেলায় ফেরে ইংল্যান্ড। বেশি বল পেতে শুরু করেন বেলিংহ্যামেরা। বেশিক্ষণ অবশ্য সেই পরিস্থিতি থাকেনি। আবার আক্রমণ শুরু করে স্পেন। তাদের ফুটবলারদের পায়ে বল থাকলেও ডিফেন্স চেরা পাস দেওয়ার জায়গা দিচ্ছিল না ইংল্যান্ড। গোলের সামনে ফুটবলার বাড়িয়ে স্পেনকে আটকে রেখেছিল তারা। প্রথমার্ধে সেই পরিকল্পনা কাজেও লেগে যায়। ৪৫ মিনিটের মাথায় ভাল সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। ডান প্রান্ত ধরে ডেকলান রাইসের ফ্রিকিক ধরে শট মারেন ফিল ফোডেন। প্রথম পোস্টে ঠিক জায়গায় ছিলেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোন। বল ধরে নেন তিনি। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটি বদল করেন স্পেনের কোচ লুই দে লা ফুয়েন্তে। রদ্রিকে তুলে নিয়ে মার্টিন জুবিমেন্ডিকে নামান তিনি। এই পরিবর্তনে কিছুটা হলেও পরিকল্পনা গুলিয়ে যায় ইংল্যান্ডের। তার ফল পায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন উইলিয়ামস। কারবাহাল বুটের ডগা দিয়ে বল বাড়ান ইয়ামালকে। ডান প্রান্তে বল ধরে ভিতরে ঢোকেন ইয়ামাল। তিনি বল বাড়ান অরক্ষিত অবস্থায় থাকা উইলিয়ামসকে। তাঁর বাঁ পায়ের শটে পরাস্ত হন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে একটি বদল করেন স্পেনের কোচ লুই দে লা ফুয়েন্তে। রদ্রিকে তুলে নিয়ে মার্টিন জুবিমেন্ডিকে নামান তিনি। এই পরিবর্তনে কিছুটা হলেও পরিকল্পনা গুলিয়ে যায় ইংল্যান্ডের। তার ফল পায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে স্পেনকে এগিয়ে দেন উইলিয়ামস। কারবাহাল বুটের ডগা দিয়ে বল বাড়ান ইয়ামালকে। ডান প্রান্তে বল ধরে ভিতরে ঢোকেন ইয়ামাল। তিনি বল বাড়ান অরক্ষিত অবস্থায় থাকা উইলিয়ামসকে। তাঁর বাঁ পায়ের শটে পরাস্ত হন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড।
৬০ মিনিটের মাথায় কেইনকে তুলে নেন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। যতক্ষণ মাঠে ছিলেন দেখাই যায়নি ইংল্যান্ডকে। তাই তার জায়গায় সেমিফাইনাল জয়ের নায়ক ওলি ওয়াটকিন্সকে নামান তিনি। ৬৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ভাল শট মারেন বেলিংহ্যাম। কিন্তু বল গোলে রাখতে পারেননি তিনি। তবে এই বেলিংহ্যামের অ্যাসিস্টে খেলায় ফেরে ইংল্যান্ড। বুকায়ো সাকা উইং দিয়ে বক্সের ভিতর বেলিংহ্যামের কাছে বল দিয়েছিলেন। তিনি বাড়ান বক্সের বাইরে ফাকায় দাড়িয়ে থাকা বদলী কোল পালমারের দিকে। তার বা পায়ের মাটি কামড়ানো শট উনাই সিমনের নাগাল এড়িয়ে পোস্টে ঢোকে।
স্প্যানিশ অধিনায়ক মোরাতাকে তুলে নিয়ে ওয়ারজাবালকে মাঠে নামিয়েছিলেন কোচ দে লা ফুয়েন্তে ৬৮ মিনিটে। স্পেনের আক্রমণ আরো শানিত হয় এতে। লামিন ইয়ামাল ৮১ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন, যা পিকফোর্ড বাচিয়ে দেন।
পিকফোর্ড আরো কয়েকটা চেস্টা বানচাল করে দেয়ার পর ৮৬ মিনিটে জয়সূচক গোল তুলে নেয়। বাঁ প্রান্ত ধরে কুকুরেয়া উঠে বল বাড়ান বক্সে।, ডিফেন্ডারের আগে তা পা লাগান ওয়ারজ়াবাল। পিকফোর্ডকে পরাস্ত করে গোল করেন তিনি। গোল শোধ করার অনেক চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। শেষদিকে ইংল্যান্ডের প্রচেষ্টা থামিয়ে দেন দানি ওলমো।