উন্নয়নের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে রাখার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র এবং তার দোসররা একসঙ্গে হয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে তারা চায় দেশকে পিছিয়ে দিতে এবং মানুষের আকাক্সক্ষাকে ধ্বংস করতে। কিন্তু এ দেশের দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সাধারণ মানুষ তা সফল হতে দেননি।
সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ডেমরা প্রান্তে ভস্মীভূত হানিফ উড়াল সেতুর শুল্কঘর (টোল প্লাজা), চট্টগ্রাম রোডে ভস্মীভূত হানিফ উড়ালসেতুর ক্ষতিগ্রস্ত শুল্কঘর এবং সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয়, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় (মৃধাবাড়ি) এবং ধলপুরে যান্ত্রিক বিভাগের ভস্মীভূত তিনটি ডাম্প ট্রাকসহ ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজল প্রমুখ।
তাজুল ইসলাম বলেন, মেট্রোরেলে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মানুষ যাতায়াত করে। সে মেট্রোরেল স্টেশনে আজ ভাঙচুর করা হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের আবর্জনা পরিবহন গাড়ি প্রতিদিন ময়লা পরিষ্কার করে ঢাকা মহানগরীর মানুষকে স্বস্তিকর জীবন দিচ্ছে, সে আবর্জনা পরিবহনকারী ড্রাম ট্রাকগুলো আগুন দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এতেই বোঝা যায়, এরা দেশের শত্রু, এরা দেশের অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘কী দোষ করেছিল মেট্রোরেল স্টেশন, কী দোষ করেছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা, কী দোষ ছিল সিটি করপোরেশনের আবর্জনা পরিষ্কারের যানবাহনের?’