পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট বাংলাদেশ জিতেছে ৬ উইকেটে। তার আগে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল ১০ উইকেটে।
অ্যাওয়েতে এটি বাংলাদেশের তৃতীয়বার টেস্ট সিরিজ জয়। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ।
নিজেদের মাঠের বাইরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়টা ২০০৯ সালে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে। ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-০ তে। তবে উইন্ডিজের সেই দলে তখন উইন্ডিজের প্রথম সারির অনেক ক্রিকেটারই ছিলেন না।
ক্যাপটেন শান্তর কাছে ‘অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই’এরপর ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে এক ম্যাচের সিরিজ ছিল। বাংলাদেশ জিতেছিল সেই ম্যাচ।
তৃতীয়বারের মতো দেশের বাইরে সাফল্য এলো পাকিস্তানের মাটিতে। এবার দুটি টেস্ট জয়ই অন্য সব জয়ের চেয়ে আলাদা। প্রথম টেস্ট ১০ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়েছিল ২৬ রানে।
পুরস্কারের টাকা আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের পরিবারকে দেবেন মিরাজসেখান থেকে মিরাজ-লিটনের উপর ভর করে ২৬২ করে বাংলাদেশ। ১২ রানে পিছিয়ে থাকার পর পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট করে ১৭২ রানে।
পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করায় টাইগারদের ক্রীড়া উপদেষ্টার অভিনন্দনদ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের ১০ উইকেটের সবগুলো তুলে নেন বাংলাদেশের পেসাররা। হাসান মাহমুদ নেন ৫টি, নাহিদ রানা ৪ এবং তাসকিন নেন ১ উইকেট।
পাকিস্তানের মাটিতে বাঘের গর্জন; অবিস্মরণীয় সিরিজ জয়এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে তোলে ৫৮ রান। দলীয় ১৫৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে বাকি পথটুকু সাবধানে পাড়ি দেন সাকিব-মুশফিক জুটি।
নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ জিতেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ বার, উইন্ডিজ, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১ বার করে। এর মধ্যে আফগানিস্তান ও আইরিশদের বিপক্ষে ছিল এক ম্যাচের সিরিজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও একটি সিরিজ ছিল এক ম্যাচের।
তাই প্রতিপক্ষ, ভেন্যু এবং ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় বলাই যায় টেস্টে বাংলাদেশের সেরা সিরিজ জয়টি পাকিস্তানের বিপক্ষেই।
