ওয়াংখেড়েতে প্রথম দিনে দুই ইনিংস মিলিয়ে পড়েছিল ১৪ উইকেট। আজ দ্বিতীয় দিনে পড়েছে ১৫টি। প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের করা ২৩৫ রানের জবাবে ভারত প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে ২৬৩ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে কিউইরা দিন শেষ করেছে ৯ উইকেটে ১৭১ রানে।
তাতে নিউজিল্যান্ডের লিড দাঁড়িয়েছে ১৪৩। কিউইদের হাতে আছে আর মাত্র একটি উইকেট। তবু স্বস্তিতে নেই ভারত।
ভারতের স্বস্তিতে না থাকার কারণ অবশ্য ওয়াংখেড়েতে চতুর্থ ইনিংসের স্কোর। ১৯৮৮ সালে ২৮২ রানের টার্গেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত। ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৩ রানের টার্গেটে, ভারত চতুর্থ ইনিংসে ১০০ রানে অলআউট হয়। ২০২১ সালে, ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ১০৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৯৭ রানে অলআউট হয়।
বোঝাই যাচ্ছে এই মাঠে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করাটা কতটা কঠিন। স্পিনাররা সুবিধা পান এই ভেন্যুতে। এই মাঠেই নিউজিল্যান্ড স্পিনার এজাজ প্যাটেলের ইনিংসে ১০ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে, ২০২২ সালে। তিনি আছেন এই টেস্টেও। ভারতের প্রথম ইনিংসে এবার নিয়েছেন ৫ উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসেও স্পিনাররাই বাজিমাত করেছেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া জাদেজা নিয়েছেন ৪টি। দ্বিতীয় ইনিংসেও তার ৫ উইকেট নেয়ার সুযোগ থাকছে। কারণ দিনের শেষ ওভার বল করতে এসে তৃতীয় ডেলিভারিতে ম্যাট হেনরিকে তুলে নিলে দিনের খেলা শেষ হয়। আরেক স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন নিয়েছেন ৩ উইকেট। ওয়াশিংটন সুন্দর নেন ১ উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন উইল ইয়ং। ২৬ রান করে গ্লেন ফিলিপস। প্যাটেলের সঙ্গে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে কাল দিন শুরু করবেন উইলিয়াম ও'রুরকে।
৪ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করা ভারত প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারে শুবমান গিল ও রিশাব পান্তের ব্যাটে ভর করে। গিল ও পান্ত পঞ্চম উইকেট জুটিতে তোলেন ৯৬ রান। গিল ১৪৬ বলে ৯০ রান করেন। পান্ত ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ বলে খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। পান্ত ফিরলে জুটি ভাঙে। ওয়াশিংটন সুন্দর অপরাজিত ৩৮ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২ ছক্কা।
অবশ্য গিল ও পান্তের বড় ইনিংসের পেছনে কিছুটা দায় আছে নিউজিল্যান্ডের। গিল যখন ব্যক্তিগত ৪৫ রানে তার ক্যাচ ছাড়েন চ্যাপমান। ইনিংসের ৩৪.৩ ওভারে পান্তের ক্যাচ ছাড়েন হেনরি। তখন পান্ত ছিলেন ব্যক্তিগত ৫৩ রানে তবে পান্ত বেশিদূর এগোতে পারেননি।
কাল তৃতীয় দিনেই হয়ে যেতে পারে ওয়াংখেড়ে টেস্টের ফলাফল।