বাংলা টাইগার্সের হয়ে আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলছেন সাকিব আল হাসান। শুরুতেই এই লিগ নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে, তবে সেটা সাকিবের দলকে ঘিরে নয়। এই লিগের প্রতি আসরেই নানারকম সন্দেহজনক ঘটনা ঘটে। ক্রিকেটারদের শাস্তিও জোটে। এবার একটি অস্বাভাবিক নো বল এবং ম্যাচ চলাকালীন এক ক্রিকেটারের জার্সি বদলানো সন্দেহের জন্ম দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার নিউ ইয়র্ক স্ট্রাইকারের মুখোমুখি হয়েছিল স্যাম্প আর্মি। এই ম্যাচে স্যাম্প আর্মির বোলার হযরত বিলাল একটি বিশাল নো বল করেন। আরব আমিরাতের এই বোলারের পা ক্রিজ লাইন থেকে এতটাই বাইরে ছিল যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সবাই এটাকে স্পট ফিক্সিং হিসেবে দাবি করছেন। তার এই কাণ্ড দেখে সতীর্থরা পর্যন্ত হাসছিলেন।
এই বছরের শুরুতে আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার কঠোর নিষেধাজ্ঞা আর নজরদারির মাঝেই এসব ঘটনা ঘটছে। এর আগে পুনে ডেভিলসের সাবেক ব্যাটিং কোচ আশার জাইদিকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া দলটির মালিক পরাগ সাংঘাভি এবং কৃষণা কুমার চৌধুরীকে ২০২১ সংস্করণে দুর্নীতির দায়ে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার সাজা দেওয়া হয়। তবু থামছে না এই ঘটনা।
এবারের লিগের আরেকটি ঘটনাও ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। নর্দান ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচে বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করছিলেন আবু ধাবির হয়ে খেলা রোহান মুস্তফা্। ওয়ারিয়র্সের ব্যাটার ওয়াসিম মুহাম্মদ তার দিকেই একটা শট খেলেন। তখন হঠাৎ রোহান মুস্তফার মনে হয়, তার জার্সি পরিবর্তন করতে হবে! তিনি টেনেটুনে জার্সি খোলার চেষ্টা করেন। বল চলে যায় সীমানার বাইরে।
জার্সি খোলা কিংবা বাউন্ডারি আটকানো- কোনোটাই করতে পারেননি রোহান। তাই প্রশ্ন উঠেছে- প্রতিপক্ষ ব্যাটারের শট নির্বিঘ্নে বাউন্ডারি পার করে দিতেই কি রোহান এই কাণ্ড ঘটালেন? রোহান অবশ্য টুইটারে দাবি করেছেন, ‘আমি সোয়েটার খুলে ফেলেছিলাম, কারণ পরের ওভারে আমার বোলিং ছিল। কোভিড নিয়মের কারণে আম্পায়ার বোলারদের থেকে কিছু নেন না। ওই সময় সোয়েটারে আমার জার্সি আটকে যায়। তবুও দর্শকদের হতাশ করায় আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’