জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলামের ওপর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিনের হেনস্তার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জবি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন।
গতকাল শনিবার রাতে এ নিন্দা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।
দুঃখ প্রকাশ করে জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলামের ওপর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সবসময় অন্য ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে একত্রে মিলেমিশে কাজ করায় বিশ্বাসী। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না যেন আর না ঘটে এ ব্যাপারে নেতাকর্মীদের প্রতিও আহ্বান জানানো হলো।’
জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, ‘এ ধরনের হামলার মনোভাব বিপ্লব পরবর্তী সময়ে একটি অশনিসংকেত। সবাইকে মনে রাখতে হবে আমরা একসাথে বিপ্লবে নেমেছিলাম। আমি এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একজন জবিয়ান হিসেবেও এই ব্যাপারটা আমাদের ভালো লাগেনি। আমরা চাই দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র সংগঠনগুলো দেশ গঠনে এগিয়ে আসুক। যদি তারা এটা বুঝতে না পারে, আমরাও শক্ত অবস্থানে যাব।’
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আশিকুর রহমান আশিক বলেন, ‘জবির যেকোনো রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার উপরে যেকোনো কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলা এটা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে অপমানজনক। আমরা চাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যারা এর সাথে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দল থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে যেন পরবর্তীতে এ ধরনের কাজ কেউ করার সাহস না পায়। আমরা রাজনীতিক সবস্থানের পক্ষে। কোন ধরনের হামলা ফ্যাসিস্টদের পুরনো আচরণ সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। এবং যারা এ ধরনের কাজ করেছে তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিকেলে সূত্রাপুর থানায় স্থানীয় নাগরিকদের নিয়ে একটি সভা চলাকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারিকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করেন সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জসিম উদ্দিন। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চেয়ার ভাঙচুর করতে থাকেন ও মারতে তেড়ে আসেন। পরে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে জবি শাখা শিবির সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামকে সরিয়ে ওসির কক্ষে নিয়ে আসেন। পরবর্তীকালে পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টির মীমাংসা হয়।