ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে নারীর পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন পর্দানশীন নারীরা। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ‘চট্টগ্রাম পর্দানশীন নারী অধিকার পরিষদ’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমবেশে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে রাষ্ট্রে পর্দানশীন নারীদের গুণাহ করতে বাধ্য করছে, যা তার ধর্মীয় বা দ্বীনি অধিকারের লঙ্ঘন। একজন পর্দানশীন নারী যদি তার চেহারা কাউকে দেখাতে না চান, সেটা তার গোপনীয়তা বা প্রাইভেসির রক্ষার অধিকার। ফলে জোর করে চেহারা দেখাতে বাধ্য করা তার গোপনীয়তা বা প্রাইভেসির অধিকার লঙ্ঘন।’
সমাবেশ থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরে বক্তারা বলেন, গত ১৬ বছর ধরে নির্বাচন কমিশনের যেসব কর্মকর্তা ছবি না তোলায় পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা, পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুণ্ণ রেখে অবিলম্বে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও শিক্ষার অধিকার দেওয়া ও সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা-ছবি মেলানোর ‘সেকেলে’ পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা এবং পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষের পরিবর্তে নারী সহকারী রাখা বাধ্যতামূলক করা।
‘চট্টগ্রাম পর্দানশীন নারী অধিকার পরিষদ’র সংগঠক আহমদ ইউশা জাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংবিধানে আছে- সকল ধর্মের মানুষ তার নিজ নিজ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবেন। তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের দেশে একজন মুসলমান হয়েও আমরা কেন আমাদের ধর্মীয় অধিকার ভোগ করতে পারছি না? ফিঙ্গারপ্রিন্টের যে দাবি আমরা দিয়েছি, আশা করি সরকার প্রধান অচিরেই আমাদের এ সুযোগ সৃষ্টি করে দেবেন।’