বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

গোপনীয়তা রক্ষায় ইসলামের শিক্ষা

আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৪ এএম

গোপনীয়তা প্রচণ্ড ভারী একটি বিষয়। সবাই তা বহন করতে পারে না। তাই যে কারও কাছে নিজের গোপনীয়তা সম্পর্কে বলা অনুচিত। হতে পারে এই গোপনীয়তাই পরবর্তী সময়ে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে। তাই নিজের গোপনীয়তা গোপন রাখাই ভালো। কেউ কাউকে বিশ্বাস করে নিজের গোপন বিষয় জানালে তারও উচিত আমানত হিসেবে তা গোপন রাখা। ইসলামে অন্যের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে রয়েছে জোর তাগিদ।

সাবেত থেকে বর্ণিত, হজরত আনাস (রা.) বলেন, একদা আমি বালকদের সঙ্গে খেলা করছিলাম, তখন রাসুল (সা.) আমার কাছে এলেন। অতঃপর তিনি আমাদের সালাম দিয়ে আমাকে কোনো এক কাজে পাঠালেন। তাই আমার মায়ের কাছে ফিরতে বিলম্ব হয়ে গেল। তারপর যখন আমি (বাড়ি) ফিরলাম তখন মা বললেন, কীসে তোমাকে আটকে রেখেছিল? আমি বললাম, রাসুল (সা.) আমাকে কোনো এক প্রয়োজনে পাঠিয়েছিলেন। মা বললেন, তার কী প্রয়োজন ছিল? আমি বললাম, সেটা তো গোপন বিষয়। তিনি বললেন, খবরদার! তুমি রাসুল (সা.)-এর গোপন বিষয় কাউকে বলবে না। আনাস (রা.) বলেন, হে সাবেত! আল্লাহর কসম! আমি যদি এ গোপন বিষয় কাউকে বলতাম, তাহলে তোমাকেও বলতাম। (রিয়াজুস সলেহিন ৬৯৩)

সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি কে? স্বামী-স্ত্রীর মেলামেশাও একটি গোপন বিষয়। অন্যের কাছে তা প্রকাশ করা বড়ই নির্লজ্জতা। আর যে এমন কাজ করে, হোক সে নারী কিংবা পুরুষ। সে মহান আল্লাহর কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুল (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানুষ সেই ব্যক্তি হবে, যে স্ত্রীর সঙ্গে মিলন করে এবং স্ত্রী তার সঙ্গে মিলন করে। অতঃপর সে তার (স্ত্রীর) গোপন কথা প্রকাশ করে দেয়। (রিয়াজুস সলেহিন ৬৯)

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত