জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত দুজনের চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করেছে ভিশন আই হসপিটালের চিকিৎসকরা। গত রবিবার রাতে তরিকুল ইসলাম ও পারভীন নামে দুজনের চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়। তাদের চোখে প্রতিস্থাপিত কর্নিয়া শ্রীলঙ্কা থেকে আনা হয়েছে।
কর্নিয়া সংযোজনের পর হাসপাতালের চিকিৎসকরা আশা করছেন, আহত দুজনের চোখে দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে।
হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফেডারেশন অব ইসলামিক মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (ফিমা সেভ ভিশন, ফিমা) পরিচালক পাকিস্তানের ইন্তেজার হোসেনের নেতৃত্বে ও শ্রীলঙ্কার পুত্তালামের কুয়েত হাসপাতালের সহযোগিতায় শ্রীলঙ্কা আই ডোনেশন সোসাইটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরে নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশি হাফিজুর রহমান এই দুজনের কর্নিয়া আনার ব্যয় নির্বাহ করেন। তিনি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। রাজধানীর বনানীর ডিওএইচএস এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
গত রবিবার কর্নিয়া আই ভিশন হাসপাতালে এসে পৌঁছায় ও সেদিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দুজনের চোখে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়।
অস্ত্রোপচার করেন দেশের কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. মাসদুল হাসান। তাকে সহযোগিতা করেন আরেক কর্নিয়া বিশেষজ্ঞ ডা. আবির বিন সাজ্জ। অস্ত্রোপচারসহ এই দুই রোগীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করছে ভিশন আই হসপিটাল। সার্বিক বিষয় তত্ত্বাবধান করেন ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা।
আরও ৬ জন ব্যাংককে : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত আরও ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে পাঠিয়েছে সরকার। গতকাল সকালে বিমান বাংলাদেশের এয়ারলাইনসের নিয়মিত ফ্লাইটে তাদের ব্যাংককে পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ ও অর্থায়নে তারা ব্যাংককের ভেজথানি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা নেবেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন এই তথ্য জানান। এ সময় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।