মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে ডোনাল্ড লু’র স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এস পল কাপুর। ট্রাম্প প্রশাসন নিয়োগ করলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে সিনেটের দিকে। তার মনোনয়নে এখনো সিনেটের অনুমোদন বাকি রয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করা হয়। এছাড়া মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের অফিস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ক্যালিফোর্নিয়ার পল কাপুর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন। সিনেটের অনুমোদন পেলেই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
মূলত এ পদের অধিকারীরা দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার রাজনীতি ও কূটনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে থাকেন। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি এবং আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে কাজ করে।
এস কাপুর বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি, নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে নেভাল পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কুলে অধ্যাপনা করছেন। এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে ডোনাল্ড লু’র স্থলাভিষিক্ত হতে যাওয়া কাপুর কি ভারতপন্থী। কেননা চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক উত্থান মোকাবিলায় ভারত-মার্কিন সম্পর্ক শক্তিশালী করার পক্ষে।
তিনি কাপুর এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, চীনা ক্ষমতা প্রতিহতে ভারতের সামরিক ক্ষমতা গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত উচ্চমানের সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করা। একটি শক্তিশালী এবং সত্যিকারের স্বাধীন ভারত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনা আধিপত্যকে বাধা দিতে পারবে।
ভারতীয় বিশ্লেষকদের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও একজন বন্ধুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী পাবে ভারত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, পল কাপুরের নিয়োগ দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি কৌশলগত পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তানের বিষয়ে।