আজ মধুবালার ৯২তম জন্মবার্ষিকী। দিনটি হিন্দি সিনেমার মহানায়িকার ভক্তরা প্রয়াত তারকার সৌন্দর্য ও চিরকালীন আকর্ষণকে ধারণ করে জমকালো আয়োজনে উদযাপন করবেন। মধুবালার ছোট বোন মধুর ব্রিজ ভূষণ বলেছেন, ‘এ দিনটা আমার এবং পরিবারের জন্য অত্যন্ত বিশেষ দিন।’
১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে মধুবালা তার অসাধারণ প্রতিভা ও অপরূপ সৌন্দর্যে চলচ্চিত্র জগতের শীর্ষে ছিলেন। সে সময় থেকেই মধুবালা এবং তার জীবন সব সময়ই আলোচনার তুঙ্গে ছিল। গত বছর মার্চে সনি পিকচার্স মধুবালার জীবনের ওপর একটি বায়োপিক তৈরির ঘোষণা দেয়। চলচ্চিত্র মহলে এটি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।
তবে ফিল্মটির সম্পর্কে এখনো কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এজন্য সনি পিকচার্সকে আইনি নোটিস দিতে যাচ্ছেন মধুবালার বোন।
তিনি বলেন, ‘এখন ২০২৫ সাল, আমরা গত বছরের মে মাসে সনি পিকচার্সের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছি ছবিটির ব্যাপারে। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি বা আপডেট পাইনি। আমি অত্যন্ত হতাশ। সনি পিকচার্সের কাছ থেকে স্পষ্ট উত্তর পাচ্ছি না। আমি একাধিকবার তাদের কাছে ইমেইল পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো জবাব দেয়নি।’
মধুর জানান, তিনি তার আইনি দলের মাধ্যমে সনি পিকচার্সকে একটি নোটিস পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত হতাশ। আমি বৃদ্ধ বয়সে রয়েছি। যেকোনো অপেক্ষা আমাকে অস্থির করে রাখে। আর সেটা যখন হয় আমার বোনকে ঘিরে, তখন তা আরও বেশি ভাবনায় ফেলে দেয় আমাকে। কেন তারা এমন নীরব হয়ে আছে আমি জানি না। তবে আমি বেঁচে থাকলে আমার বোনের জীবনী নির্মাণের জন্য যা করা প্রয়োজন, সবই করব। মধুবালা যেমন একজন সুপারস্টার ছিলেন, তেমনি ছিলেন একটি পরিবারের মেয়ে। তিনি সাধারণ জীবনকে ভালোবাসতেন। আমি আশা করি, তাকে নিয়ে সিনেমাটি দ্রুত শুরু হবে এবং আমি আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেখব।’
মধুর স্পষ্টভাবে জানান, মধুবালার জীবন নিয়ে কেউ অনুমতি ছাড়া যেন কোনো সিনেমা বা শো তৈরি করার চেষ্টা না করেন। এটি হবে অন্যায়। এমনটি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেই সঙ্গে তিনি মন খারাপ করে জানান, ‘কিছু লেখালেখি এবং অনলাইন কনটেন্টে মধুবালাকে খারাপভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা আমাকে ব্যথিত করেছে। সবাই দয়া করে আরেকটু সচেতন থাকবেন।’
মধুর আরও জানান, তিনি মধুবালার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু বিশেষ কাজ করতে চেয়েছিলেন। যেমন তার ম্যুরাল স্থাপন, একটি বৃদ্ধাশ্রম এবং সংগীত বিদ্যালয় স্থাপন করা। কিন্তু সিনেমাটি নিয়ে অযৌক্তিক বিলম্বের কারণে সেগুলোও এখন স্থগিত করতে হয়েছে।