শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

অস্ত্র রপ্তানিতে লক্ষ্য অর্জন থেকে পিছিয়ে ভারত

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৪ এএম

আত্মনির্ভর ভারত গড়তে অস্ত্র আমদানির পরিবর্তে অস্ত্র উৎপাদন ও রপ্তানিতে জোর দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফলে গত কয়েক বছরে দফায় দফায় অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম আমদানিতে কাটছাঁট করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু তবুও পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ত্র রপ্তানিতে নির্ধারিত লক্ষ্য থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে ভারত।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, ২০২০ সালে ঘোষিত প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও রপ্তানি নীতিতে (ডিপিইপিপি) ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি রুপির (তৎকালীন হিসাবে ৫০০ কোটি ডলার) অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অংশও অর্জিত হয়নি। ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ২১ হাজার ৮৩ কোটি রুপির অস্ত্র রপ্তানি করা হয়েছে। ফলে মোদি সরকার ঘোষিত ডিপিইপিপি নীতিতে এখনো প্রায় ১৪ হাজার কোটি রুপি ঘাটতি রয়েছে। যা চলতি বছরের মধ্যে পূরণ করতে হবে। আর এই পাঁচ বছরের সময়সীমার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতিকে হিসেবে নিলে মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় প্রায় ৪৩ হাজার কোটি রুপিতে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও, এই সময়ের মধ্যে ভারত ১০০টি দেশে সমরাস্ত্র ও সরঞ্জাম রপ্তানি করেছে।

অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের ওপর আমদানি নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনে ভারতকে অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করার উদ্যোগ নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে লক্ষ্যে মোদির দপ্তর থেকে ২০২০ সালের শুরু থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তারই জেরে বিদেশ থেকে অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানি নিয়ে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু হয়। এমনকি প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ভারতকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ২০২১ সারে প্রথম ধাপে ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল মোদির সরকার। এর আগে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১৬ হাজার কোটি রুপি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি করেছিল ভারত। পরের বছর সেটি ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত