তার ক্যারিয়ার পড়ে গিয়েছিল হুমকির মুখে, দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও উঠেছিল। দীর্ঘদিন রানে না থাকা বিরাট কোহলি অবশেষে গতকাল সেঞ্চুরি হাঁকালেন প্রিয় প্রতিপক্ষ পাকিস্তানের বিপক্ষে। খুশদিল শাহকে কভারের উপর দিয়ে চার মেরে দেশকে জেতানোর পর বুকে বার বার হাত ঠেকিয়ে উদযাপন করলেন। নিজেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ।
ম্যান সিটিকে হারিয়ে আরও এগিয়ে গেল লিভারপুল২০১২ এশিয়া কাপে ১৮৩, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১০৭, ২০২৩ এশিয়া কাপে ১২২, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপরাজিত ১০০; সঙ্গে টি-টোয়েন্টির অসংখ্য স্মরণীয় ইনিংস। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে পাকিস্তানকে পেলেই জ্বলে ওঠেন কোহলি। গতকাল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেভাবে কর্তৃত্ব নিয়ে তিনি খেলেছেন, তাতে মাথা তোলার কোনো সুযোগই পায়নি পাকিস্তান।
দুবাইয়ে ৫১ নম্বর ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি। এই নিয়ে তার মোট আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি হলো ৮২টি। সঙ্গে ১৪ হাজার রানে পৌঁছনোর বিশ্বরেকর্ড তো আছেই।ম্যাচের আগের দিন দুই ঘণ্টা আগে অনুশীলনে চলে এসেছিলেন। ৩৬ বছর বয়সেও তার এই ক্রিকেটের প্রতি কোহলির এই নিবেদন তরুণদের নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা দেবে।
সুখস্মৃতির রাওয়ালপিন্ডিতে আজ ভিন্ন কিছু করতে চায় বাংলাদেশহাইভোল্টেজ ম্যাচ শেষে সঞ্চালক ইয়ান বিশপ প্রশ্ন করেছিলেন, এক সপ্তাহ ছুটি পেয়ে কেমন লাগছে? হাসতে হাসতে কোহলির উত্তর, ‘৩৬ বছর বয়সে এসে ভালোই লাগছে। যদি ২০-২৫ বছর বয়স হতো, তাহলে অন্যকিছু ভাবতাম। আপাতত কয়েকদিন নিজেকে বিশ্রাম দেব। কারণ এই ধরনের ম্যাচ খেলার সময় নিজেকে উজার করে দিতে হয়।’
কোহলি এদিন কোনো তাড়াহুড়া করেননি। কোনো ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতে দেখা যায়নি। যখন যেভাবে ব্যাট করতে হয়েছে, সেভাবেই করেছেন। একবারও পাকিস্তানের বোলারদের সুযোগ দেননি। দুবাইয়ের উইকেটে বল থেমে আসছিল। তাই দেখেশুনে খেলার বিকল্প ছিল না। ম্যাচ শেষে তার প্রশংসায় অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘সবাই জানে, কোহলি দেশের হয়ে খেলতে কতটা ভালোবাসে। এত বছর ধরে ওকে দেখছি। আর ওকে দেখে অবাক হই না।’
দায়টা তাহলে বাফুফের!আর কোহলি বলেন, ‘সত্যি বলতে, যেভাবে খেলেছি সেটা এই ধরনের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। রোহিতকে শুরুতেই হারানোর পর দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে। আগের ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমার দায়িত্ব ছিল, মাঝের ওভারগুলোতে স্পিনারদের বিপক্ষে কোনো ঝুঁকি না নিয়ে খেলা। শেষের দিকে আমি আর শ্রেয়স কয়েকটা বাউন্ডারি মেরেছি।’
