দেখতে দেখতে রূপায়ণ সিটির ৭ দিনব্যাপী সবুজের সমাহার শেষ হলো। শেষের দিনে বৃক্ষ প্রেমীদের গাছ কেনা ও দেখার ভিড় দেখা যায়। মেলাটি শুরু হয়েছিল ২০ ফ্রেব্রুয়ারি। সপ্তাহব্যাপী রূপায়ণ সিটির আয়োজনে এই মেলা বৃক্ষ বেচাকেনা ও প্রদর্শনী কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সুন্দর এ মেলায় নার্সারি কর্তৃপক্ষদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন রূপায়ণ সিটির কর্তৃপক্ষ।
বুধবার রূপায়ণ সিটি উত্তরার ম্যাজিস্টিক পেরিফেরাল রোডে বিকেলে সাত দিনব্যাপী বৃক্ষ মেলার অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতার শেষ করেন রূপায়ণ সিটির প্রধান নির্বাহী এম মাহবুব রহমান।
তিনি বলেন, গাছের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। প্রাণি জগতের অস্তিত্ব রক্ষায় উদ্ভিদের বিকল্প নেই। গাছ আছে বলেই পৃথিবী আজও বসবাসের যোগ্য। সেই ধারণাকে সামনে রেখে রূপায়ণ সিটি ৭ দিনব্যাপী বৃক্ষ মেলা আয়োজন করেছে। দেশের স্বনামধন্য ১৪টি নার্সারি এবং দেশের স্বনামধন্য বেকারি কুপার্স, নাইল বিস্ট্রো ক্রোকারিজ, পিঠা ঘর এবং এস কে বি কুকওয়্যার অংশ নেয়। এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে তাদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।
রূপায়ণ গ্রুপের মার্কেটিং ডিরেক্টর অমিত চক্রবর্ত্তী বলেন, রূপায়ণ সিটির উত্তরা ইতিমধ্যে ঢাকা শহরে বিশুদ্ধ অক্সিজেন চেম্বার হিসাবে পরিচিতি হিসেবে লাভ করেছে। আপনারা জানেন এরই মধ্যে রূপায়ণ বৃক্ষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে সম্মানিত বাসিন্দারা মেলায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছেন। ভবিষ্যতেও আমাদের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যারা সংশ্লিষ্ট আছেন এবং যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
এ সময় মেলা অংশগ্রহণকারী তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেনরূপায়ণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম মাহবুব রহমান ও রূপায়ণ গ্রুপের মার্কেটিং ডিরেক্টর অমিত চক্রবর্ত্তী।
প্রথম পুরস্কার পেয়েছে আয়েশা গার্ডেন, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে অর্জুন নার্সারি, তৃতীয় হয়েছেন ফ্রেশ এভার গ্রীন। এ ছাড়াও অন্যান্য অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানদেরকে একটি করে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। অন্যান্য নার্সারিগুলো হলো- আনিকা নার্সারী, মা-বাবার দোয়া নার্সারি, জাহানারা নার্সারি, রংপুর মায়ের দোয়া নার্সারি, গ্রীন ল্যান্ড নার্সারি, মীম নার্সারি, উত্তরা নার্সারি, ফয়সাল নার্সারি।
রূপায়ণ সিটির বাসিন্দারা বলেন, পরিবেশ সুন্দর রাখতে বৃক্ষের বিকল্প নেই। এ ধরনের মেলায় ছোট বড় সবাইকে বৃক্ষের প্রতি ভালোবাসতে শিখায়। হরেক রকমের গাছের সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়। ছোট বাচ্চারা গাছের সাথে পরিচিত হতে পারে। এ আয়োজনটি খুবই ভালো এবং সুন্দর ছিল।
বৃক্ষ মেলায় অংশ নিয়ে একাধিক নার্সারি মালিকরা বলেন, অনেক জায়গায় আমরা বৃক্ষ মেলা করেছি। বর্তমানে রূপায়ণ সিটিতে বৃক্ষ মেলা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা চেয়েছিলাম মেলাটির সময় আরো বৃদ্ধি করতে। বৃদ্ধি করলে আমরা আরো লাভবান হতাম।