টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সালিশি বৈঠকে বিতণ্ডার এক পর্যায়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিন গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ চলাকালে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নে সোমবার সকাল ১১টার পর থেকে সাকরাইল, সহদেবপুর, মুলিয়া গ্রামের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনায় অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সহদেবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়্যারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্বা শুকুর মাহমুদ।
স্থানীয়রা জানান, বাউল গানের একটি ওরশ কেন্দ্র করে সাকারাইল ও মুলিয়া গ্রামের ছেলেদের মাঝে দুদিন আগে ঝগড়া হয়েছিল। এ কারণে আজ সকালে সালিশের আয়োজন করা হয়েছিল। সালিশে দুপক্ষের কথা কাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে ঢিল ছুড়লে সহদেবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়্যারম্যান আহত হয়। এই খবর তার গ্রামে পৌঁছালে তারাও এ সংঘর্ষ লিপ্ত হন। পরে বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, সালিশে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঢিল ছুড়লে বিএনপি নেতা শুকুর মাহমুদের মাথায় লাগে। এরপর ঘটনা আরো ভয়াবহ আকার নেয়। দুপুর ১২টার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।