সোমবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ১৮তম বোর্ড পরিচালকদের সভায় ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটারদের। সভা শেষে বোর্ড পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠু ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছেন এসব তথ্য।
ক্রিকেটারদের বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ফাহিম বলেছেন, ‘পারিশ্রমিক বেড়েছে, ম্যাচ ফিও বেড়েছে। বাড়ানোর ক্ষেত্রে টেস্ট ক্রিকেটার যারা, তাদের বৃদ্ধির পরিমাণটা অন্যদের তুলনায় একটু বেশি। এর মধ্যে দিয়ে ওদের আগ্রহটা আমরা ধরে রাখতে চাই।’ টেস্ট ক্রিকেটারদের বেতন আনুপাতিক হারে বেশি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ফাহিমের ব্যাখ্যা, ‘বেশ কিছুদিন আগে ওদের শেষ পারিশ্রমিক বাড়ানোর ব্যাপারটি (আলোচনা) হয়েছিল এবং এবারও কিছু পারিশ্রমিক বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি। বিশেষ করে, টেস্ট ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বাড়ানোর ব্যাপারটি প্রাধান্য দিয়েছি। যারা শুধু টেস্ট ক্রিকেট খেলে, তাদের সুরক্ষিত করার জন্য, তারা যেন নিরাপদ অনুভব করে, তারা যেন এক ফরম্যাট থেকে আরেক ফরম্যাটে যাওয়ার চেষ্টা কম করে। খুব স্বাভাবিকভাবেই, যারা শুধু টেস্ট ক্রিকেট খেলে, অন্যদের তুলনায় তাদের আয় কম হয়। তাই অন্যদিকে যাওয়ার একটা প্রবণতা তাদের থাকে, যেটা তাদের মূল ফরম্যাটকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সেটার কথা বিবেচনা করে টেস্ট ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারটিতে নজর দিয়েছি।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে শেষ হয়েছে বিসিবির সঙ্গে ফিল সিমন্সের চুক্তির মেয়াদ। খুব আহামরি কোনো পারফরম্যান্স তার হাত ধরে করেনি বাংলাদেশ, আবার একেবারে খারাপও করেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট জয়, ওয়ানডে জয়, টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করাসহ বেশ কিছু কৃতিত্বের ভাগিদার করতেই হচ্ছে সিমন্সকে। দেশি কোচদের জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে যুক্ত করার প্রক্রিয়ায় মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে সহকারী কোচ হিসেবে সংযুক্ত করার পদক্ষেপটিও গৃহীত হয়েছে খেলোয়াড়দের মধ্যে। এ দুজনের সঙ্গেই চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহের পাশাপাশি একজন ভালো মানের ফিল্ডিং কোচও খুঁজছে বিসিবি।
ফাহিম জানিয়েছেন, ‘ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারটিতে আমরা জোর দিতে চাই। দেশীয় ফিল্ডিং কোচ আমাদের নেই, তা নয়। তবে আমাদের মনে হয়েছে, খুব উঁচু মানের ফিল্ডিং কোচ দরকার, যারা আমাদের শুধু জাতীয় দল নয়, নিচেও কাজ করবে। এইচপি দল, ডেভেলপমেন্টে কাজ করতে চাইবে। এজন্য দুজন ফিল্ডিং কোচের কথা এসেছে এবং আমরা দুজনেরই খোঁজ করব।’