চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে এক যুবককে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ওই দিন রাত ১১টার দিকে ইছানগরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া ওই যুবক হলেন শহিদুল আলম জুয়েল (৩২)। তিনি উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর এলাকার শাহ আলমের ছেলে।
এনআইডি সেবা স্থানান্তরের প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচিতে ইসি কর্মীরাভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে জুয়েলকে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয়। তবে পুলিশের ব্যাপক নজরদারি ও অভিযানে জুয়েলকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে অপহরণকারীরা।
ভুক্তভোগী জুয়েলের বাবা শাহ আলম বলেন, অপহরণকারীরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে জুয়েলকে ছাড়তে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একপর্যায়ে তারা ৫ লাখ টাকায় নেমে বিকাশের মাধ্যমে টাকাগুলো পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় জুয়েলকে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা।
‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে কোন যুদ্ধে লড়াই করতে আমরা প্রস্তুত’অপহৃত জুয়েল বলেন, তারা নিজেদের ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আমাকে ডেকে নেয়। পরে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নগরীর এদিক সে দিক ঘোরায়। মুক্তিপণ নিতে বাবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তারা। তবে পুলিশের কড়া নজরদারি থাকায় পরিকল্পনা পাল্টিয়ে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে পুলিশ। পুলিশের কড়া নজরদারির ফলে অপহরণকারীরা জুয়েলকে ছেড়ে পালিয়েছে। পরে আমরা তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
