আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নয়ারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার দাস (৪৮)। তিনি আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল দাসের ছেলে ও নয়ারহাট বাজারের দিলীপ স্বর্ণালয়ের মালিক।
পুলিশ জানায়, স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার দাস রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তবে ছিনতাইকারীরা কি পরিমাণ স্বর্ণ বা নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে সে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি।
নিহতের স্বজন খোকন সরকার বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে শাটার নামানোর সময় ৩ জন দুর্বৃত্ত তার হাতে থাকা ব্যাগ ধরে টান দেয়। কিন্তু দিলীপ ব্যাগ না ছাড়ায় চাপাতি দিয়ে তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে স্বর্ণ ও টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। দিলীপের বুকে এবং চাপায় কোপানো হয়েছে। তার ফুসফুস কেটে গেছে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই মারা গেছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
নিহতের স্ত্রী সরস্বতী দাশ বলেন, আমার স্বামী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে বাসায় আসতো। আজকেও বাসায় আসার সময় তাকে কুপিয়ে সঙ্গে থাকা ২০-২৫ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেরাজুর রেহান পাভেল জানান, স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বুকে বড় ক্ষত ছিল, ডান গালে এবং পিঠেও ক্ষত ছিলো। পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হলে মারা যায়। আমরা ধারণা করছি, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তিনি মারা গেছেন।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছি। কে বা কারা জড়িত চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধারে আমাদের কার্যক্রম চলছে।