ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানে (ড্যাপ) প্রস্তবিত সংরক্ষিত খেলার মাঠ, পার্ক, জলাশয় ও খোলা জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
আজ বৃহস্পতিবার গুলশান নগরভবনে উভয় সংস্থার শীর্ষ কর্তাদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এবং রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম ছাড়াও ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় রাজউক কর্তৃক প্রণীত ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০২২-২০৩৫’ তে প্রস্তাবিত পার্ক, খেলার মাঠ, জলকেন্দ্রিক পার্ক, ইকো পার্ক সমূহের থানা, মৌজা ও দাগ নম্বর অনুযায়ী সীমানা চিহ্নিত করে সেগুলো সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে সমন্বয় করে যৌথভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, রাজউক ও অন্যান্য সরকারি সংস্থার মালিকানাধীন জমি, খাস জমি ও অন্যান্য খালি জায়গা, মাঠ, পার্ক, জলাশয় এগুলো রক্ষণে সংশ্লিষ্ট দফতরের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত বাউন্ডারির ব্যবস্থা করা হবে।
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ড্যাপের নির্ধারিত মাঠ, পার্ক ও জলাশয়ের মৌজা ও দাগ নম্বর উল্লেখ করে আমরা জেলা প্রশাসন, ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এসব জায়গার খাজনা গ্রহণ ও জমি হস্তান্তর বন্ধ রাখতে আহবান জানাব। এসব জায়গা ও জলাশয় যেকোনো সরকারি সংস্থা বা ব্যাক্তি মালিকানার হলেও এগুলো সংরক্ষণ করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব জায়গায় সাইনবোর্ড লাগানো হবে যেন কোনও ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করা না হয়। অবৈধ দখলমুক্ত করতে ঈদের পরে রাজউক ও ডিএনসিসি যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে।