রাজধানীর কাফরুলে জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার অনুষ্ঠানে আবারও হামলা হয়েছে। গতকাল ইফতারের আগে শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য রাখার সময় একদল লোক লাঠিসোঁটা হাতে এ হামলা চালায়। দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলাকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তারা হামলাকারীদের পিটিয়ে বের করে দেন। পরে পার্টির ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। কচুক্ষেতের দ্য বুফে লাউঞ্জে এই ইফতার ছিল।
এর আগে গত ৮ মার্চ পল্লবীতে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের ইফতার মাহফিলেও হামলার ঘটনা ঘটে।
গতকালের ঘটনার ব্যাপারে জাপার যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ইফতারির আগে সোয়া ৫টার সময় আমাদের মহাসচিব বক্তব্য রাখছিলেন। এর মধ্যে ৮-১০টি ছেলে এসে হইচই শুরু করে। আমরা মনে করেছি ইফতার নিয়ে হইচই করছে। কিন্তু পরে দেখি ওরা বাইরের লোক। পরে ওদের আমরা সবাই মিলে হল থেকে বের করে দিই। এরপর ওরা আবার সংঘবদ্ধ হয়ে ক্রিকেট ব্যাট, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। এ সময় দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে ওদের পিটিয়ে এলাকা ছাড়া করেন। পরে আমরা ইফতার করেছি ও পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বক্তব্যও দিয়েছেন।
হামলা শেষে চেয়ারম্যান জিএম কাদের এক ভিডিও বক্তব্যে দেন। সেখানে তিনি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদায় চান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটা সমূহ বিপদের দিকে, ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যত তাড়াতাড়ি এখান থেকে উদ্ধার করা যায় ততই ভালো। তার প্রধান ও জরুরি কাজ হলো এই সরকার সরে নতুন করে সরকার আসা।’
জিএম কাদের আরও বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন একটা পর্যায়ে গেছে, যেটা বর্ণনার অতীত। কারও জানমালের নিশ্চয়তা নেই। মানুষের অসহায়ত্ব দেখে দুঃখ করা ছাড়া কিছু করার নেই। একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা করে এখানকার মানুষ বেঁচে আছে। তিনি বলেন, সরকারের প্রধান দায়িত্বই ছিল মানুষের নিরাপত্তা বিধান করা। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে, পুলিশকে সম্পূর্ণ অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে। পুলিশকে কার্যকর করার ব্যবস্থা না করে এখন দেশটাকে আগুনের মুখে ফেলে দিচ্ছে। কেউ এখানে নিরাপদ না।
অন্তর্বর্তী সরকারের কথা উল্লেখ করে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওনারা যখন পারছেন না তখন ওনাদের ছেড়ে দিয়ে চলে যাওয়া উচিত। যদি অন্য কেউ পারে, ভালো করে, তাহলে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে। ওনারা যত তাড়াতাড়ি চলে যান, দেশ ও জাতির জন্য ততই মঙ্গল।’