সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

গণতন্ত্রের গন্তব্য কোথায়?

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:০৩ এএম

গণতন্ত্র বলতে কোনো রাষ্ট্রের এমন একটি শাসনব্যবস্থাকে  বোঝায়, যেখানে নীতিনির্ধারণী বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিকের সমান ভোটাধিকার থাকে। ইংরেজি Democracy শব্দটি গ্রিক শব্দ Demo Kratia থেকে উদ্ভূত হয়েছে। যা গ্রিক শব্দ Demos এবং Kratia শব্দ দুটির সমন্বয়ে গঠিত। Demos শব্দের অর্থ হচ্ছে জনগণ এবং Kratia শব্দের অর্থ শাসন। সুতরাং Democracy শব্দের অর্থ দাঁড়ায় জনগণের শাসন। গণতন্ত্রে আইন প্রস্তাবনা ও প্রণয়ন তৈরির ক্ষেত্রে সব নাগরিকের অংশগ্রহণের সমান সুযোগ রয়েছে। যা সরাসরি বা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হয়। ‘গণতন্ত্র’ পরিভাষাটি সাধারণভাবে একটি রাজনৈতিক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হলেও অন্যান্য সংস্থা বা সংগঠনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা দিয়েছেন আব্রাহাম লিংকন। তিনি বলেছেন, ‘Government of the People by the People and for the People’.

আধুনিক বিশ্বব্যবস্থায় গণতন্ত্রের অবস্থা : আধুনিক বিশ্বব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সংকট দিন দিন ঘনীভূত ও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছে। এর গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরাচারী সরকারকে অকুণ্ঠ অন্ধ সমর্থন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শোষণনীতি এবং অর্থনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি কম দায়ী নয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহণের সময় বলেছিলেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সুসংহত করা। জার্মানির ব্যাটেলমান ফাউন্ডেশনের গবেষণার তথ্যানুসারে, বিশ্বে দুর্বল প্রশাসন ও গণতন্ত্রের সংকট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ছাড়া বৈষম্য ও নিপীড়ন বিশ্বব্যাপী বাজার অর্থনীতিকে দুর্বল করে তুলছে। বর্তমান বিশ্বে গণতন্ত্রের রোল মডেল দেশের সংখ্যা বিস্ময়করভাবে কমে যাচ্ছে। ক্ষীণ হয়ে আসছে গণতান্ত্রিক কাঠামো শক্তিশালী করার প্রয়াস। যুক্তরাষ্ট্রের মারটিনবিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একদল গবেষকের মতে, ‘শাসকগণের অসততা ও জনগণের প্রতি নিপীড়নমূলক মনোভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের চর্চা পরাভূত হচ্ছে’। প্রকৃত গণতন্ত্র ছাড়া সবার জন্য উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায় না। সে কারণেই কেউ কেউ কমিউনিস্ট ব্যবস্থা সমর্থন করেননি। আসলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে বহু দল ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা এবং অপরিহার্য বিরোধী দলের সমালোচনা। যেকোনো রাষ্ট্রে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি শুধু আমলা শ্রেণিকেই কলুষিত করে না, সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্র এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়। অথচ স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন পুলিশ বিভাগ ইত্যাদি রাষ্ট্রের ভারসাম্য সৃষ্টির জন্য অপরিহার্য। ফলে বিদ্যমান ব্যবস্থায় বিশ্ব গণতন্ত্র অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের গণতন্ত্রের গন্তব্য কোথায় : বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসী। কারণ গণতন্ত্র জনগণের জন্য কথা বলে, জনগণের মূল্যবোধ প্রতিপালিত হয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার মাধ্যমে। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সুবাদে পশ্চিমা গণতন্ত্রের প্রতি এ অঞ্চলের মানুষের বিশেষ ভালোবাসা ও আকর্ষণ তৈরি হয়। তারপর ধীরে ধীরে সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। ব্রিটিশ শাসকরা আন্দোলনের গায়ে দখিনা বাতাস প্রবাহিত করার জন্য আপাদমস্তক চেষ্টা করে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশে তখন দল গঠন ও ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য ছিল। তাদের তোয়াজ করতে পারলে আর কোনো সমস্যা ছিল না। সে সময় দুটি দল প্রতিষ্ঠায় মূলত শাসকদের ভূমিকা বেশি ছিল। দল দুটি হচ্ছে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ। ১৮৬১ সালে প্রণীত আইন থেকে শুরু করে ১৮৯২, ১৯০৯, ১৯১৯ ও ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের মাধ্যমে ভারতীয়দের দাবির প্রতি লক্ষ্য রেখে ব্রিটিশ শাসকরাও একটি সংসদীয় ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভূমিকা রাখে। এ সংসদ ব্রিটিশ স্বার্থরক্ষাই সচেষ্ট ছিল বলে জানা যায়। তবে এ কথা সত্য যে, ১৯১৯ ও ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের মাধ্যমে প্রাপ্ত বিভিন্ন ক্ষমতার কারণে পরবর্তী সংসদগুলো ভারতীয়দের স্বার্থরক্ষার বিবেচনায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল। এ জন্যই ভারতীয়দের মনে-প্রাণে স্বাধীনতা ও সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি আগ্রহ ছিল বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

কিন্তু ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ব্রিটিশ শাসকদের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর ভারতের দুটি অংশে অর্থাৎ পাকিস্তান ও ভারতে জনগণের এমন আগ্রহের প্রতি নেতৃত্বের বিবেচনায়  স্বাতন্ত্র্য পরিলক্ষিত হয়। ভারতের নেহরু-গান্ধীর বিপরীতে পাকিস্তানের জিন্নাহ-লিয়াকতরা তখন নতুনভাবে উপনিবেশ তৈরির কাজে বিশেষভাবে মনোনিবেশ করে। বাংলাদেশের জন্মের পর নবগঠিত এ রাষ্ট্রেই গণতন্ত্রের মৃত্যু ঘটে এবং একদলীয় বাকশালের জন্ম হয়। পরবর্তীকালে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা ত্বরান্বিত হলেও জিয়াউর রহমান হত্যাক-ের কিছু দিন পরে ১৯৮২ সালে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের কাছ থেকে বন্দুকের নলের আগায় ক্ষমতা দখল করে সামরিক আইন জারি করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তারপর দীর্ঘদিন গণতন্ত্র হিমঘরে বিশ্রাম নেয়। পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু হয়। সে আন্দোলনে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ ডান-বাম সব দল যুগপৎ আন্দোলনের ফলে শেষ পর্যন্ত ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদের পতন ঘটে। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মদকে কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান করে একটি সরকার কায়েম হলে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার বিএনপির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তিনি স্বপদে ফিরে যান। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন একপর্যায়ে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে ১৯৯৬ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর, কেয়ারটেকার ব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত করে। তারপর কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে পরপর আরও তিনটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আদালতের সহযোগিতায় কেয়ারটেকার পদ্ধতি বাতিল করা হলে পুনরায় একদলীয় শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এরপর আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন শুরু হয়। ১৬ বছর পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার। জনগণের প্রত্যাশা, হয়তো একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু সেখানেও চলছে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের তেলেসমাতি। দেশব্যাপী নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে সেনাপ্রধান একটি আলোচনা সভায় দেশবাসীর প্রতি একটি সতর্কতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করেছেন, যা প্রশংসনীয়। তিনি বলেছেন, ‘দেশবাসীর ঐক্যের পরিবর্তে চলছে পরস্পরের প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি ও নৈরাজ্য। এটি যদি বন্ধ করতে না পারেন, তাহলে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে।’ উল্লেখ্য, অতীতে প্রায় সব শাসক গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছে। ওই স্বৈরাচারীরা বরাবরই গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে। তাহলে বোঝা গেল, ‘শুধু স্বৈরাচারীরা নয়, গণতন্ত্রের নামে অনেকেই গণতন্ত্রকে হত্যা করে স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে।’

২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের কথা কারও অজানা নয়। ওই নির্বাচনে ভোটার না থাকলেও ভোটের সমাহার ছিল। ভোটারবিহীন এত ভোট কোথা থেকে এলো, তা ছিল বিশ্বব্যাপী প্রশ্ন। ১৫৪ আসনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আ.লীগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে যায়। নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ না থাকলেও সরকার গঠনের সময় উৎসবের শেষ ছিল না। নতুন একখানা বিরোধী দল গঠন করা হয়েছিল। পোষা প্রাণীর মতো বিরোধী দল। ওই বিরোধী দলের কোনো ভূমিকা জনগণের চর্ম চোখে ধরা পড়েনি। মনে হয়েছে, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের এটি একটি নতুন সৃজনশীল পদ্ধতি! ২০১৮ এবং ২০২৪-এর নির্বাচন নিয়ে জনগণই বিশ্লেষণ করবেন যে, গণতন্ত্রের আসল গন্তব্য কোথায়! রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের আগ্রহের প্রতি কীভাবে সাড়া দিচ্ছে তা উপলব্ধির যোগ্য নয়। গুম, খুন, আয়নাঘরের কাহিনি আর বিচারবহির্ভূত হত্যা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবুও শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। আর সংস্কারের কথা বলছেন? ক্ষমতায় বসার জন্য কোনো কোনো দল মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা সংস্কারকে ভালোভাবে নিচ্ছে না। মনে রাখবেন, সব দল ও প্রতিষ্ঠানই জনগণের পর্যবেক্ষণের অধীন রয়েছে। ইতিহাস কাউকে কখনো ক্ষমা করে না। অপরাধ করলে সবাইকে একদিন আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো। কিন্তু তারা স্বৈরাচারের তাঁবেদারি করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা যথাযথভাবে গ্রহণ করেছে ঠিকই, কিন্তু গণতন্ত্র চর্চায় সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আসলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের গন্তব্য কোথায় এটিই এখন জনগণের প্রশ্ন। ১৮৬১ সালকে সংসদীয় গণতন্ত্রের শুরু ধরলে প্রায় ১৬৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো অনিশ্চয়তার সমুদ্রে। কিছুদিন আগেও সংসদ লুটেরা, মূর্খ, অসৎ ব্যবসায়ী ও ধনিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষা করে চলার সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত ছিল। কোনো কোনো ব্যবসায়ী জোর গলায় বলে বেড়ান, ‘এমপি আমাকে হতেই হবে।’ তার মানে টাকা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সাধ জাগে এবং জনগণের সেবার পরিবর্তে তারা শোষণ করে। আমাদের দেশে প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থার নেতৃত্বে কোনো গণতন্ত্র নেই, ক্ষমতাই যেন নেতৃত্বের মূল লক্ষ্য। তারপর লুটপাট আর অর্থ পাচার। ফলে নাগরিকদের সত্যিকার গণতন্ত্র উপেক্ষিত থেকেই যাচ্ছে। রাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বুলি আওড়ায়, আবার নিজেরাই সন্ত্রাসের গডফাদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। আইন বিভাগ বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থে আইন প্রণয়ন করে।  শাসন বিভাগ নিজেকে রক্ষা করতে কৌশলে তা প্রয়োগ করে। কোনো কোনো দল স্বাধীনতা আনয়ন ও রাষ্ট্রের জন্মের ভূমিকায় বাগবিত-ায় লিপ্ত হয়ে মুখে ফেনা তুলে বেড়ায়; কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাদের কোনো কার্যকর ভূমিকা নেই। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সংস্কারের লক্ষ্যে যেসব পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন, তা বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কিছুটা দেরিতে সম্পন্ন হলেও দেশ আগামীতে একটি সুন্দর ও টেকসই গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাবে বলে জনগণের বিশ্বাস। সুতরাং গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত ও পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকারের ইতিবাচক সব কর্মকা-ে সাড়া দেওয়া রাজনৈতিক দল ও জনগণের নৈতিক দায়িত্ব।

পরিশেষে বলব,  যারা ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যাওয়ার আকাক্সক্ষা পোষণ করেন তাদের কর্তব্য হচ্ছে- গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সে আকাক্সক্ষা পূরণের চেষ্টা করা প্রয়োজন। কোনো ধরনের নৈরাজ্য, দুর্বৃত্তপনা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলেই দেশের গণতন্ত্র নতুন গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে জনগণ বিশ্বাস করে। না হলে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে ধাবিত হবে।

লেখক: শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত