চট্টগ্রামে হাটহাজারী উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাসহ ৩২জনকে মামলার আসামি করেও আবার তাদের জামিন চাওয়ায় বাদীকে হাজতখানায় পাঠিয়ে দেন আদালত। পাঁচ ঘণ্টা হাজতবাসের পর মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান বাদী তছলিমা আক্তার নামে এক নারী। সোমবার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় করা এক মামলায় আবুল মনসুর নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওই নেতাসহ ৩২ আসামি জড়িত নয় বলে আদালতে হলফনামা দেন বাদী। পরে নিজে আদালতে হাজির হয়ে জামিনে আপত্তি নেই জানান। এরপর আদালত বাদীকে হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক জানান, ‘হাটহাজারীর একটি মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আবুল মনসুর ও মো. হাসানের জামিনের আবেদন করা হয় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।’
কয়েক মাস আগে এই দুজনসহ ৩১ জন আসামি জড়িত নন দাবি করে হলফনামা দেন বাদী তসলিমা আক্তার। জামিন শুনানির সময় আসামিদের জামিনে আপত্তি নেই জানান বাদী। তখন বিচারক বাদীর কাছে জানতে চান, কেন মামলা করলেন, আবার হলফনামা দিলেন ৩১ আসামির নামে। এখন জামিনে আপত্তি নেই জানালেন কেন?
বাদী কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে বিচারক বাদীকে হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টা হাজতবাসের পর বাদী ভবিষ্যতে আর এই ধরনের কাজ করবেন না বলে আদালতে লিখিত মুচলেকা দেন। পরে আদালত তাকে ছেড়ে দেন, বলেন পিপি আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক।
জানা গেছে, আসামি আবুল মনসুর হাটহাজারী ধলই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে ধরতে গিয়ে পুলিশ বাধার সম্মুখীন হয়। এতে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরদিন মনসুরকে হাটহাজারী থানার ৪ আগস্টের একটি মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ছাড়া মনসুরের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা রয়েছে। আবুল মনসুর ও মো. হাসান গত ৫ ফেব্রুয়ারি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হন।