ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরুদ্ধে টানা পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন তারা। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে তুর্কিরা বিক্ষোভ করছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত এক দশকের মধ্যে এমন বিশাল বিক্ষোভ দেখেনি তুরস্কবাসী। বিক্ষোভ দমনে এরই মধ্যে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। একপর্যায়ে তারা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে জল কামান ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করেন। এ সময় বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সিটি হল এলাকা। এ পর্যন্ত ৩৪৭ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলু ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ে তাকে মনোনীত করতে গত রবিবার ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, তুরস্কের ৮১ প্রদেশের মধ্যে অন্তত ৫৫টি প্রদেশে বিক্ষোভ হয়েছে, যা দেশটির দুই তৃতীয়াংশ অঞ্চলের সমান। একরেমের স্ত্রী দিলেক কায়া ইমামোগলু সিটি হলের বাইরে জড়ো হওয়া হাজার হাজার জনতার উদ্দেশে বলেন, তার স্বামীর প্রতি করা অন্যায় প্রতিটি বিবেকবান মানুষের মনে নাড়া দিয়েছে।
একরেমকে আটকের পর রবিবার আদালতে তোলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য রেকর্ড, টেন্ডারবাজি এবং অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনেন। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে একরেমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১৩ সালে এ রকম বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়েছিল তুরস্কে। তখন ইস্তাম্বুলের স্থানীয় একটি পার্ক ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। এর ১০ বছর পর একরামকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আবারও রাস্তায় নামল হাজার হাজার মানুষ।