কুমিল্লার তিতাসে রুবেল মিয়াকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে নিহতের বড় ভাই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে তিতাস থানায় এ মামলা করেছেন। মামলার এজাহার নামীয় ৪ জনকেই গ্রেফতার করেছে তিতাস থানা পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন, ইয়াছিন (৩২), তোফাজ্জল (৪৫), মোহাম্মদ আলী (২৭) ও তার পিতা জয়নাল ওরফে ডোম জয়নাল (৫৫)। তারা উপজেলার গাজীপুর বাস্তুহারা এলাকার বাসিন্দা। তাদের আজ (৫ এপ্রিল) কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারদের বরাতে পুলিশ জানায়, ইয়াছিন ও নিহত রুবেল কেস পার্টনার। ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ইয়াছিন, রুবেল, তোফাজ্জল ও মোহাম্মদ আলী এক সাথে মোহাম্মদ আলীর ঘরে ইয়াবা সেবন করতে যায়। ইয়াছিন ৬৫০ টাকা দেয় ইয়াবা আনতে, মোহাম্মদ আলী, আরিফ নামের একজন ইয়াবা বিক্রেতার কাছ থেকে তিনটি ইয়াবা আনে। সেবনের এক পর্যায়ে ইয়াছিন কোমর থেকে হাতুড়ি বের করে রুবেলের মাথায় আঘাত করে। রুবেল খাট থেকে নিচে পড়ে যায় এবং দাপাদাপি শুরু করে। তাকে থামাতে তোফাজ্জল রুবেলের পা চেপে ধরে। পরে মোহাম্মদ আলী তার ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে রুবেলের মাথায় একাধিকবার কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
লাশ গুম করতে ইয়াছিন ও তোফাজ্জল ব্যাগ আনতে বেরোয়। কিন্তু তারা আর ফিরে আসেনি। এরপর মোহাম্মদ আলী স্থানীয় রাশেদ ফরাজি নামের একজনকে ফোন করেন। রাশেদ ঘটনাস্থলে এসে রুবেলের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়লে মোহাম্মদ আলী তাকে দূরে নিয়ে যায়। পরে রাশেদের জ্ঞান ফিরলে তিনি চিৎকার করেন এবং মোহাম্মদ আলী খুন করেছে বলতে থাকেন। তখন আশপাশের লোকজন এসে মোহাম্মদ আলীকে আটক করে। খবর পেয়ে মোহাম্মদ আলীর পিতা ডোম জয়নাল ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
আটক মোহাম্মদ আলীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাত আনুমানিক ৩টার সময় অভিযান চালিয়ে ইয়াছিন ও তোফাজ্জলকে তাদের নিজ ঘর থেকে আটক করে পুলিশ।
তিতাস থানার ওসি মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই জিয়া বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। আমরা ইতিমধ্যে এজাহারনামীয় ৪ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।
নিহত রুবেল বাস্তুহারার মৃত আলী মিয়ার ছেলে।