শক্তির বিচারে ধানমণ্ডি এগিয়ে রইলেও আসরের পয়েন্ট টেবিলে উপরে থেকেই বিরতি কাটিয়ে মাঠে নেমেছিল গুলশান। শেষ ওভারে গিয়ে ঠেকা ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে জিতে সাত নম্বর অবস্থান থেকে টেবিলের চারে উঠে এসেছে ক্লাবটি।
বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ২৫৮ রান করে ধানমণ্ডি স্পোর্টস ক্লাব। ফজলে মাহমুদ রাব্বী ৬৫, হাবিবুর রহমান ৩২ ও কামরুল ইসলাম রাব্বী ২৯ রান করেন। গুলশানের পক্ষে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদি হাসান ও আসাদুজ্জামান পায়েল। মোহাম্মদ ইলিয়াস নেন দুই উইকেট।
জবাবে রানের সঙ্গে নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও হারাচ্ছিল গুলশান। আজিজুল হাকিম তামিম ৩৯ রান করলেও জাওয়াদ আবরার ২২, লিটন দাস ২৫ ও আলিফ ইমন ২৮ রানে ফিরে গেলে বড় জুটি হয়নি। ষষ্ঠ উইকেটে নাঈম ইসলাম সে অভাব পূরণ করেন খালিদ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে। তাদের ৬৮ রানের জুটি ভাঙে খালিদ ৩৩ বলে ৪২ রান করে আউট হলে। অন্যদিকে ফিফটি তুলে নেন নাঈম। আরেকটি ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইলিয়াসের সঙ্গে।
তখন গুলশানের জয় ছিল সময়ের অপেক্ষা। আগের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় থেকে ৭ রান দূরে থাকতে পরের বলে নাঈম ফিরে যান আনামের শিকার হয়ে। ৬৭ বলে ৬ চার ১ ছ্ক্কায় ৬৮ রান করেন তিনি। ৪৯তম ওভার থেকে আসে মাত্র ১ রান। শেষ ওভারে ৬ রানের প্রয়োজন ছিল। কামরুলের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৩ রান করা ইলিয়াস। চতুর্থ বলে নিহাদের ব্যাটে ফাইন লেগ দিয়ে চার এলে ম্যাচ জেতে গুলশান।
এ হারে ধানমণ্ডির সুপার সিক্সে ওঠার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। ৯ রাউন্ড শেষে ৩ জয়ে মাত্র ৬ পয়েন্ট তাদের। অবস্থান টেবিলের আট নম্বরে। অন্যদিকে ১১ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠে গেছে গুলশান। তাদের পরের দুটি ম্যাচ তলানীর শাইনপুকুর ও ১০ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকা প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে। নিজেদের ম্যাচে আজ প্রাইম ব্যাংক ৫ উইকেটে হেরেছে মোহামেডানের কাছে। আর শাইনপুকুরকে ১০ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষস্থান আর সুসংহত করেছে আবাহনী।