বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

চট্টগ্রাম

জোড়া খুন নিয়ে জবানবন্দিতে যা বললেন আসামি সজিব

  • খুনের আগে চারঘণ্টা বৈঠক করা হয়
  • হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন ৭-৮ জন
  • পরিকল্পনা ছিল সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ সারোয়ারকে খুন করা
আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম

চট্টগ্রামে জোড়া খুনের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি মোহাম্মদ সজিব। তিনি বলেন, মূলত সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ায় তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হাসান ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা সারোয়ার হোসেন বাবলাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সারোয়ারকে খুন করতে পারেননি তারা। সারোয়ারের সাথে থাকা দুজন খুন হন।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে এই জবানবন্দি দেন। এর আগে রোববার রাতে সদরঘাট এলাকা থেকে সজিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জবানবন্দিতে সজিব জানান, জোড়া খুনের আগে তারা ৭/৮ জন মিলে ওয়াজেদিয়া এলাকার একটি কয়লা ঘরে চারঘণ্টা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সাজ্জাদের প্রতিপক্ষ সারোয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। বৈঠকটি  হয় সাজ্জাদের হোসেনের ডানহাত হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ হাসানের নেতৃত্বে। জোড়া খুনের সময় অস্ত্র হাতে তার (সজিব) মোটর সাইকেলের পেছনে ছিলেন হাসান। বৈঠকে খুনের পরিকল্পনার বিষয়ে পূর্বপরিচিত ইমনকে জানান হাসান। 

তিনি জানান, ঘটনার দিন সকালে মোবাইল ফোনে মোটর সাইকেল নিয়ে সজিবকে চট্টগ্রাম শহরে আসতে বলেন ইমন। ফটিকছড়ির একটি গ্যারেজ থেকে ১ হাজার টাকায় ভাড়া করা মোটরসাইকেল নিয়ে ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় অক্সিজেন মোড়ে আসেন সজিব।  এসে ইমনকে ফোন দেন। ইমন তাকে কয়লার ঘরে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে ৭/৮ জনকে দেখতে পান সজিব। সেখানে বসে তারা সারোয়ারকে খুনের পরিকল্পনা করেন।

তিনি আরও জানান, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কয়লার ঘরে ছিলেন তারা।  রাত ১২টার পরে চট্টগ্রাম শহরের শাহ আমানত সেতুসংলগ্ন বালুমহাল এলাকায় যান তারা। ঘটনার দিন সাতটি মোটরসাইকেলে অস্ত্র হাতে সরাসরি হত্যাকাণ্ড অংশ নেন সাত থেকে আটজন। অনেককে চেনেন না সজীব।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক জানান, সজীবের জবানবন্দিতে জোড়া খুনে জড়িতদের নাম জানা গেছে। সজীবসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাসানসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গত ৩০ মার্চ রাতে প্রাইভেটকার ধাওয়া করে সিরাজদৌল্লা রোড ব্রাশ ফায়ারে বখতিয়ার হোসেন (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩২) নামে দুজনকে হত্যা করা হয়। নিহত দুজন আরেক ‘সন্ত্রাসী’ সারোয়ার হোসেন বাবলার অনুসারী। ঘটনার রাতে ওই গাড়িতে সারোয়ার ছিলেন, তবে তিনি বেঁচে যান।

এ ঘটনায় সন্ত্রাসী সাজ্জাদ, তর স্ত্রী তামান্না শারমিনকে হুকুমের আসামিসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার বাকলিয়া থানায় মামলা করেন নিহত বখতিয়ারের মা ফিরোজা বেগম। মামলার বাকি পাঁচ আসামি হলেন- মো. হাছান, মোবারক হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. রায়হান ও মো. বোরহান। তারা সবাই সাজ্জাদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত