নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসা ছাত্রী আকলিমা আক্তার জুঁইকে (৭) শ্বাসরোধে হত্যা ও অ্যাসিডে মুখ পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত সনাক্ত করে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে নিহত জুঁইয়ের নিজ গ্রাম বড়াইগ্রামের গাড়ফা মাদরাসা মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গাড়ফা সমাজকল্যাণ পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জুঁইয়ের স্বজন, সহপাঠী, শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দাসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে জুঁইয়ের বাড়িতে গিয়ে সেখানে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো অভিযুক্তদের শনাক্ত কিংবা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি, যা হতাশাজনক। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরও দায়ীদের গ্রেপ্তার না হওয়ায় স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন এবং তা না হলে থানা ঘেরাওসহ বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
গাড়ফা সমাজকল্যাণ পরিষদের সভাপতি হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে কান্নাভেজা কণ্ঠে বক্তব্য দেন জুঁইয়ের দাদা সাইদুল ইসলাম।
এছাড়াও বক্তব্য দেন স্থানীয় জামায়াত নেতা আতিকুল ইসলাম, ব্যাংকার নজরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ পরিষদের কোষাধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, স্কুল শিক্ষক গণি আল মারুফ ও জিয়াউর রহমান এবং জুঁইয়ের মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আল আমিন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দাদির বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় প্রবাসী জাহিরুল ইসলামের কন্যা জুঁই। পরদিন বাড়ির কাছাকাছি একটি ভুট্টা খেতে বিবস্ত্র অবস্থায়, অ্যাসিডে ঝলসানো মুখসহ তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।