শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

দুবাইয়ের ‘কালো বিড়াল’ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪০ এএম

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার ধ্বংস করার জন্য আবার অপতৎপরতায় লিপ্ত শক্তিশালী একটি চক্র। আগামী ২১-২২ মে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে নিরাপদ অভিবাসন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণসহ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্পর্কিত তৃতীয় ওয়ার্কিং গ্রুপের সভার আগে এই চক্রটি নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। এতে মালয়েশিয়ায় আগামী ছয় বছরে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক পাঠানোর বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজারেও তারা নানা অপতৎপরতা চলছে। এতে বাংলাদেশ বছরে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন রাজস্ব হারানোর আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে দুদকে অভিযোগ পড়েছে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে, মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি খাত ধ্বংস করার মিশনে নেমেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) কিছু বহিষ্কৃত নেতা। তারা সৌদি আরবের পর বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়াকে ঘিরে দেশের ভেতরে নানা ধরনের নেতিবাচক বক্তব্য দিচ্ছে। ওইসব বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় পুরো অভিবাসন প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যবসায়ী জানান, যাদের অপতৎপরতায় শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তাদের অন্যতম হচ্ছে বায়রার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন ধামাসী করপোরেশনের নোমান চৌধুরী। এই চক্রটি ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে কাজ করছে। তারা বিতর্কিত সাবেক এমপি ফেনীর নিজাম হাজারীর প্রেসক্রিপশনে চলছেন। তার সঙ্গে আছেন একই জেলার আলাউদ্দিন নাসিম ও আবুল বাশার।

জানা গেছে, জনশক্তি রপ্তানি খাতে জাল-জালিয়াতির অভিযোগে জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিষ্ঠানটির কাছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী পাঠানোর বহির্গমন ছাড়পত্র দেওয়ার মূলকপি ও সত্যায়িত কপি চেয়েছে দুদক। এর আগে আমিরাতে শ্রমিক প্রেরণে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও দূতাবাসের সত্যয়নকৃত ডিমান্ড নোটের অপব্যবহার করায় এক বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারকে। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ফখরুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে বিপুল অঙ্কের অর্থ পাচার করেছেন। কিছুদিন আগে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন অন্য এক ব্যবসায়ী।

এসব অভিযোগের বিষয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বলি। এজন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’

বায়রার মহাসচিব মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, বায়রার নেতা পরিচয় দিয়ে ফখরুল ইসলাম ও তার সহযোগী নোমান চৌধুরীসহ কয়েকজন নেতা বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা তথ্যসংবলিত স্মারকলিপিসহ অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মূল লক্ষ্য শ্রমবাজার তথা দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত