অবশেষে বড় স্কোরের দেখা পেলেন সৌম্য সরকার। ধারাবাহিকতার অভাবে ভোগা এই তারকা ব্যাটার বিস্ফোরক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ১৫৩ রানের ইনিংস। তাতে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ৩৩৩ রানের পাহাড় গড়ে লিজেন্ডস। সাইফ হাসান আর তানজিদ তামিমের ওপেনিং জুটিতে আসে ৮১ রান। সাইফ ৬১ বলে ৪৩ আর তানজিদ ৩৩ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৪৩ রান করেন।
তিনে নেমে বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন সৌম্য। ৯২ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। এরপর একই মেজাজে ব্যাট ঘোরাতে থাকেন এই বিস্ফোরক ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১২ বলে ১৫৩ রানে। তার ১৩৬.৬১ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে ছিল ১৭টি চার এবং ৬টি ছক্কার মার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার নবম সেঞ্চুরি। ৯ সেঞ্চুরির চারটিতেই ১৫০ ছুঁয়েছেন এই বাঁহাতি। এর একটি আবার ২০৮ রানের ইনিংস। যেটি এই সংস্করণে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৫০ ছোঁয়া ইনিংস খেলার রেকর্ডও এখন সৌম্যর। তিনটি ১৫০ ছোঁয়া ইনিংস নিয়ে দুইয়ে তামিম ইকবাল।
এছাড়া মেহেদী মারুফ করেন ২৪ রান। তবে ফিফটি মিস করেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় ৪৯ রানে। জবাবে ২৩০ রানেই গুটিয়ে যায় অগ্রণী ব্যাংকের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন মার্শাল আইয়ুব। সাইফ নেন ৩ উইকেট।
মোহামেডানকে জেতালেন রিয়াদ
ব্যাটটা কথাই শুনছিলো না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। জাতীয় দল থেকে অবসরে যাওয়া রিয়াদ অবশেষে ডিপিএলে পেলেন ফিফটি। তার ৭১ রানের ইনিংসের সুবাদে রান তাড়া করে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান। ফিফটি পেয়েছেন নিষেধাজ্ঞা বিতর্কের মধ্যে থাকা অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ও।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে গুলশান গুটিয়ে যায় ২২৪ রানেই। সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন শাকিল হোসেন। জবাবে ৩৭ রানের মধ্যে ফেরেন মোহামেডানের দুই ওপেনার। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৯৩ রান তোলেন হৃদয়-রিয়াদ। ৬২ রানে সাজঘরে ফেরেন হৃদয়। জয় থেকে চার দূরে থাকতে থামেন রিয়াদ। ১০৩ বল খেলে করেন ৭১ রান।