মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

সাভারে রানা প্লাজায় নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২০ পিএম

সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজিডির ১২ বছর পুর্তি উপলক্ষে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধায় রানা প্লাজার সামনে নির্মিত শহীদ বেদীতে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিহত এবং নিখোঁজদের স্মরণ করেন আহত শ্রমিক, নিহত ও নিখোঁজের স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মোমবাতি প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন শেষে নিহতদের স্মরণে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়। পরে শ্রমিকদের পরিবার ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতের পাশাপাশি রানা প্লাজা ট্রাজেডিতে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (বি এন টি ইউ এফ) এর ব্যানারে লিখা ছিল তোমরা স্বর্গবাসী হও, ঘুমাও শান্তিতে আমরা জেগে আছি হত্যাকারীদের বিচার করতে। 

বাংলাদেশ টেক্সটাইল-গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে লিখা ছিল রানা প্লাজা শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ১২ বছর, আমরা তোমাদের ভুলিনি।

এর আগে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে রানা প্লাজার জায়গা ও সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে আহত, নিহত শ্রমিক ও পরিবারকে পুনর্বাসন, আহতদের সুচিকিৎসা, সোহেল রানাসহ দায়ী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত কর, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা ও রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কর, শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিত ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। 

বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রতি বছর এই দিনে আমরা নিহতদের স্বরণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করি। প্রতি বছরই আমরা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরি। আমাদের দাবিগুলো হচ্ছে, ২৪ এপ্রিলকে জাতীয়ভাবে শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করা, রানা প্লাজার সামনে স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা, রানা প্লাজার জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা এবং হতাহত শ্রমিকদের এক জীবনের আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির কোনোটাই এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। অবিলম্বে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে হবে। 

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক নিহত এবং আহত হন প্রায় ২ হাজার শ্রমিক।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত