ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ বলে গালি দিয়েছেন ফিলিস্তিন কর্র্তৃপক্ষের (পিএ) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া এবং ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার পরিপ্রেক্ষিতে হামাসকে একহাত নিয়েছেন এই পিএ নেতা। গত বুধবার ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় অনুষ্ঠিত ৩২তম প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তৃতাকালে মাহমুদ আব্বাস এসব কথা বলেন। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হামাসকে তাদের হাতে বন্দি সব জিম্মি মুক্ত করে দেওয়াসহ গোষ্ঠীটিকে নিরস্ত্র হওয়া এবং গাজার নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের দাবি জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দ্য জেরুজালেম পোস্ট জানায়, টিভিতে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে আব্বাস হামাসকে গালি দিয়ে বলেন, ‘কুকুরের বাচ্চারা জিম্মিদের মুক্তি দাও।’ তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ বন্ধ হতে হবে। এই যুদ্ধে প্রতিদিন শত শত মানুষ মরছে। কারণ হামাস এখনো জিম্মিদের হস্তান্তর করেনি। অবিলম্বে এসব জিম্মিদের ছেড়ে দিয়ে এই যুদ্ধ খতম করার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে হবে এবং তাদের অস্ত্র ফিলিস্তিন কর্র্তৃপক্ষের কাছে সমর্পণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন মাহমুদ আব্বাস।
হামাস ও মাহমুদ আব্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়া এবং সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালানোর জন্য আব্বাসকে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হতে হয়েছে। মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিনি কর্র্তৃপক্ষ (পিএ) পশ্চিম তীরের কিছু অংশ শাসন করে। আর হামাস ২০০৫ সালে দুপক্ষের মধ্যে বিভক্তির পর থেকে গাজা শাসন করছে। তবে আব্বাসের বক্তব্যকে নিজ জনগণের জন্যই ‘অবমাননাকর ভাষা’ বলে নিন্দা করেছে হামাস।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেনগাভিরের দিকে পানির বোতল ছুড়েছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সফরসূচির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি।
