রাজধানীতে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ হাবিবুর রহমানসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য। অন্যরা হলের— কামরাঙ্গীরচর থানার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ শহিদ (৪১), বংশাল থানা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি জিয়া মিয়া (৪৫), ২৮ নম্বর ওয়ার্ড শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রব পাটোয়ারী (৫০), ২৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ, শেরেবাংলা নগর থানার সহ-সভাপতি কবির হোসেন ওরফে পানি কবির (৩৫), ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম কে আজিম, মহানগর উত্তর তুরাগ থানা কৃষক লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন (৪২), বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদ, কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রায়হান আহমেদ (৪৩) ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগের রামপুরা থানার সভাপতি কামরুল ইসলাম খান লিটু (৪৫)।
উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য শেখ হাবিবুর রহমানকে রাজধানীর পোস্তগোলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এছাড়া শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাক থেকে শামীম আহমেদ শহিদকে এবং বিকালে জিয়া মিয়াকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগ। এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি টিম তেজগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আব্দুর রব পাটোয়ারী ও কবির হোসেন ওরফে পানি কবিরকে গ্রেপ্তার করে।
উপ-কমিশনার আরও জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ী কলাপট্টি থেকে এম কে আজিমকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগ এবং রাত আনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে তুরাগ এলাকা থেকে দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি উত্তরা বিভাগ।
এছাড়া শুক্রবার দিনগত পৌনে ১টার দিকে মুগদা এলাকা থেকে রায়হান আহমেদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগের একটি টিম। একই দিন রাত দেড়টার দিকে রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট এলাকা থেকে কামরুল ইসলাম খান লিটুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি গুলশান বিভাগের অপর একটি টিম।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ রয়েছে।