বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

শ্যালকের চেক জালিয়াতি, দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম

শ্যালক মোহাম্মদ ফাহমিদের চেকবই জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলায় দুলাভাই মারুফ আহমেদ ও তার সহযোগী আমিন উদ্দিন আবেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার পারভীনের আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ মে দিন ধার্য করা হয়েছে। শনিবার বাদীপক্ষের আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ শ্যালক মোহাম্মদ ফাহমিদকে না জানিয়ে তার নামে খোলা ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের লালবাগ শাখা থেকে দুলাভাই মারুফ আহমেদ নিজে স্বাক্ষরের পর চেকবই গ্রহণ করেন। তবে ফাহমিদের চেকবই ফেরত না দিয়ে নিজের কাজে রেখে দেন তিনি। পরে মামলার বাদী ফাহমিদ ওই ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন আসামি মারুফ স্বাক্ষর করে তার চেকবই নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ফাহমিদ চকবাজার থানায় জিডি করেন।

২০২৪ সালের ২৪ এপ্রিল আসামি মারুফ চেকবই থেকে একটা পাতা নিয়ে তারিখ, টাকার পরিমাণ অংকে ও কথায় লেখেন। পরদিন ২৫ এপ্রিল আসামি আমিন উদ্দিন চেক নিয়ে ব্যাংক জমা দেন। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর বাদী ফাহমিদ জাল জালিয়াতি করা চেকের ফটোকপি সংগ্রহ করেন। এ ঘটনার পর তিনি চকবাজার থানায় মামলা করতে যান। তবে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করতে পরামর্শ দেন।

পরবর্তীতে মোহাম্মদ ফাহমিদ বাদী হয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে গত ৬ এপ্রিল সিআইডির উপপরিদর্শক মো. মিদন মিয়া অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামি মারুফ আহমেদ ও আমিন উদ্দিন আবেদ পরস্পর যোগসাজশে মামলার বাদী ও তার পরিবারের নিকট অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করেন। তারা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বাদীকে না জানিয়ে ব্যাংক থেকে তার চেক বই উত্তোলন করে মারুফ নিজের হেফাজতে রাখেন।

পরবর্তীতে চেক বইয়ের একটি পাতায় এক কোটি ৯৫ লাখ টাকা লিখে বাদীর স্বাক্ষর জাল করেন। আসামিরা সৃজনকৃত চেকের জাল স্বাক্ষরকে খাটি হিসাবে ব্যবহার করেন। তদন্তে এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের মতামতে বাদীর নমুনা স্বাক্ষরের সঙ্গে সৃজনকৃত চেকের স্বাক্ষর অমিল পাওয়া যায়। মারুফ ও আমিনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত