মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বাংলাদেশের রেটিং পুনর্বিবেচনার আহ্বান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৫ এএম

বিশ্বের কয়েকটি প্রধান ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের রেটিং ধারাবাহিকভাবে কমিয়েছে। সংস্থাগুলোকে দেশের রেটিং পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় কয়েকটি রেটিং এজেন্সির সঙ্গে বৈঠক করেছে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে রেটিং এজেন্সিগুলোকে বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতি নিয়ে রেটিং এজেন্সিগুলো সন্তুষ্ট। তাদের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে রেটিংয়ের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।’

আরিফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২৬ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে। তখন বৈদেশিক ঋণ বা সহায়তা পাব না। যেটুকু সময় আছে, তার থেকে যাতে বঞ্চিত না হয়, তাই রেটিং এজেন্সিগুলোকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করার কথা বলা হয়েছে।

গত বছরের জুলাইতে বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঋণমান যাচাইকারী কোম্পানি এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ঋণমান ‘বিবি মাইনাস’ থেকে কমিয়ে ‘বি প্লাস’ করেছে। এর আগে সর্বশেষ যে প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের ঋণমান অবনমন করেছিল, সেটি হলো ফিচ রেটিংস। গত মে মাসের শেষদিকে তারা আট মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়ে দেয়। তখন প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের ফরেন কারেন্সি ইস্যুয়ার ডিফল্ট রেটিং (আইডিআর) ‘বিবি মাইনাস’ থেকে ‘বি প্লাস’ করে, যদিও দেশের অর্থনীতি-সম্পর্কিত পূর্বাভাস স্থিতিশীল রাখে তারা।

মূল্যস্ফীতি, ডলার রেট, নতুন টাকা ও দুর্বল ব্যাংকগুলো নিয়েও কথা বলেন মুখপাত্র। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ও গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো একটি নতুন নোট ছাপানো হয়নি। একটি ডিজাইনের নোট ছাপাতে ন্যূনতম ১৮ মাস সময় লাগে। বাংলাদেশ ব্যাংক উদ্যোগ নিয়েছে একসঙ্গে ৯ ধরনের নোট ছাপানোর। তবে এত পরিমাণ নোট ছাপানোর সময় ও সক্ষমতা লাগে, যেটা আমাদের নেই। তবুও মানুষের আবেগ বিবেচনায় নিয়ে পুরনো নোট বন্ধ রেখে নতুন ছাপানোর কার্যক্রম শুরু করেছে। তাই বাজারের যেসব নোট রয়েছে, তা দিয়েই আপাতত মানুষকে চলতে হবে। মে মাসেই বাজারে নতুন নোট আসবে।’

তিনি আরও বলেন, দুর্বল ব্যাংকের অনিয়মের কারণে তারল্যসংকট হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হয়। এসব ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র দেখার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট করা হয়েছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি কাক্সিক্ষত অনুযায়ী কমানো যায়নি। তবে কিছুটা কমছে। ডলার রেট রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের জন্য কমেছে এটা ভালো দিক।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত