সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

উত্তেজনায় তপ্ত ভারত-পাকিস্তান

কাশ্মির সীমান্তে পাঁচ রাত ধরে গোলাগুলি

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৫ এএম

কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে সংঘটিত এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

টানা পাঁচ রাত ধরে কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, এই গোলাগুলির জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করা হলেও, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।

এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, জম্মু ও কাশ্মিরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টানা পঞ্চম রাতের মতো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তানি সেনারা। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই উসকানির জবাব তারা ‘সংযত ও কার্যকর’ভাবে দিয়েছে।

সূত্রের বরাতে জানা গেছে, গতকাল রাতের এই গোলাগুলির ঘটনা কাশ্মিরের কুপওয়ারা ও বারামুল্লা জেলার বিপরীত এলাকা এবং আখনূর সেক্টরের কাছে ঘটে। 

ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২৮ এপ্রিল রাত থেকে ২৯ এপ্রিল রাত পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনারা বিনা উসকানিতে কুপওয়ারা, বারামুল্লা ও আখনূর সেক্টরের বিপরীতে এলওসি বরাবর ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে। ভারতীয় সেনারা পরিস্থিতির যথাযথ মূল্যায়ন করে সংযত ও কার্যকর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাকিস্তানি সেনারা এলওসি বরাবর একাধিক ভারতীয় চৌকিতে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও কোনো হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি।

এই গোলাগুলির ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর এটিই কাশ্মিরে সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রথমবারের মতো সাম্প্রতিক উত্তেজনায় কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। সম্প্রতি অধিকৃত কাশ্মিরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে।

পেহেলগামের হামলার পর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ভারত সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়, যার পাল্টা জবাবে পাকিস্তান সিমলা চুক্তি স্থগিত করে এবং ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয়।

এছাড়া হামলার পর উভয় দেশই প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে নির্দেশ দেয়। ফলে দুই দেশের নাগরিকেরা দেশে ফেরার প্রক্রিয়া শুরু করেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত