কুমিল্লার লাকসামে নিখোঁজের একদিন পর পুকুর থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুই শিশুর পরিবার দাবি করেছে, এটি দুর্ঘটনা নয়, তাদের সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে পৌর সদরের গুনতি গ্রামের একটি পুকুরে শিশুদের মরদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।
নিহত দুই শিশু হলেন- গুনতি গ্রামের পূর্বপাড়ার রুবেল হোসেনের ছেলে জিহাদ হোসেন (৭) ও একই বাড়ি মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাব্বির হোসেন মহিন (১০)। তারা গুনতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যথাক্রমে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরের পর শিশু দুটি নিখোঁজ হয়। তারা খেলতে বের হয়েছিল বলে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে গুরুত্ব দেননি। বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নামলেও তারা বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনেরা। বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় খোঁজ চালিয়েও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
গুনতি গ্রামের আবুল কাশেম বলেন, সকালে হাঁটতে বের হয়ে দেখি পুকুরে কিছু একটা ভাসছে। কাছে গিয়ে দেখি শিশুর মরদেহ। পরে সবাই মিলে আরও একটি মরদেহ তুলে আনি। এদিকে নিহতদের পরিবার এই মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তারা বলছে, শিশু দুটি সাঁতার জানত ওই পুকুরে তারা প্রায়ই খেলাধুলা করত। ফলে এটি নিছক পানিতে ডুবে মারা যাওয়া নয় বলে তারা মনে করছে।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) চুমকি বড়ুয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা
হয়েছে। তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।