এমপিওভুক্তির ফাইল আটকে রাখার অভিযোগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুপুরে দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্ব অভিযানটি চালানো হয়। এসময় দুদকের কর্মকর্তারা নতুন এমপিওভুক্তির আবেদনের ৯২টি ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ তোলেন।
জানা গেছে, মাউশির কলেজ শাখার উপপরিচালক ড. আলমগীর কবির নিজের অফিসে ফাইল আটকে রেখেছেন- এমন অভিযোগে বুধবার দুপুরে অভিযান চালায় দুদক।
অভিযানের সময় দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দেখতে পেলাম উপ-পরিচালক আলমগীরের কাছে ৯২টি ফাইল পেন্ডিং আছে। অনৈতিকভাবে ধরে রেখে পরিচালকের কাছে ফরওয়ার্ড করেননি।
জানতে চাইলে মাউশি রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. আলমগীর কবির বলেন, ‘ফাইল আটকে রাখার কোন প্রশ্নই আসে না। নতুন এমপিওভুক্তির ফাইল পাঠানোর শেষ তারিখ আগামী ৬ মে।
মাউশির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘চলতি মাসের ২০ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীর সাড়ে ৮ হাজার কারেকশন ফাইল ফরওয়ার্ড করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ১৫০টি ফাইল পেন্ডিং ছিল। রাত ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৬০টি ফাইলের কাজ করে ফরওয়ার্ড করেছি। বাকি যে ফাইলগুলো ছিল সেগুলো আজকে রাতের মধ্যেই ফরওয়ার্ড করা সম্ভব। এখনো সময় আছে ৬ মে পর্যন্ত। অথচ আমি ফাইল আটকে রেখেছি এমন অভিযোগ তুলে দুদক অভিযান পরিচালনা করেছে।
ফাইল পাঠানোর সময় বাকি থাকতেই ফাইল আটকে রাখার প্রসঙ্গ কীভাবে আসছে জানতে চাইলে দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন প্রশ্ন তোলেন, এই তিনদিনে কি ৯২টা ফাইল ফরওয়ার্ড করা সম্ভব?’