বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার রাত ১১টা থেকে এই অনশন শুরু হলেও, প্রায় ১২ ঘণ্টা অতিক্রম হওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ আন্দোলনকারীদের কাছে আসেনি।
অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যকে ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনের কোনো পর্যায়ে তিনি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা বা যোগাযোগ করেননি। বরং শিক্ষার্থীদের দাবিকে উপেক্ষা করে মামলা ও জিডি করেছেন। তাদের অভিযোগ, তিনি উপাচার্য হিসেবে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। এক দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়াহিদুর রহমান বলেন, “আমাদের ক্ষোভের পরিসীমা এই উপাচার্য অতিক্রম করেছেন এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি তিনি পায়ে মারিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট শুচিতা শরমিন পদত্যাগ করবেন না অথবা তাকে অপসারণ করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অনশন চলবে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোনে সাড়া মেলেনি। এমনকি তার নিজ বিভাগেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শিক্ষার্থীদের চলমান এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি অংশ। শিক্ষকদের পক্ষ থেকেও অনশনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, গত ২৮ দিন ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রথমে ২২ দফা, পরে তা সংশোধন করে ৪ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তবে দাবি পূরণ না হওয়ায় তারা বর্তমানে উপাচার্য অপসারণের এক দফা দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন। চলমান আন্দোলনের ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রম, উপাচার্যের বাসভবন এবং একাডেমিক কার্যক্রম শাটডাউন করে দেওয়া হয়েছে। এতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।