সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) আহ্বায়ক আরিফ মহিউদ্দিন ও সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগরের মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজার মাদক সেবন ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ছবি/ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ১৪০০ শহীদ ও অর্ধলক্ষ আহতদের ওপর দাঁড়ানো প্ল্যাটফর্মের কোনো সদস্যের অনিয়ন্ত্রিত ও অসামাজিক কার্যকলাপ জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে। তাই ফাতেমা খানম লিজাকে মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সংগঠনের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন দেশ রূপান্তরকে বলেন, লিজার কিছু অশ্লীল ছবি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হাওয়ার পর আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও মহানগরের সদস্যরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন।
তারা বলেন, ১৪০০ শহীদের রক্তের ওপর সংগঠিত একটি সংগঠনে আমরা এমন নেত্রী চাচ্ছি না। তাই সংগঠনের আহ্বায়ক ও মুখ্য সংগঠকসহ অন্যদের সঙ্গে আলাপ করে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কোনো তদন্ত কমিটি করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না কোনো তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি কিন্তু তাকে ৪৮ ঘণ্টার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল তার বক্তব্যের জন্য। কিন্তু সে কিছু জানায়নি আমাদের। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে সংগঠন ব্যবস্থা নিয়েছে।
অব্যাহতির বিষয়ে মুখপাত্র ফাতেমা খানম লিজা দেশ রূপান্তরকে বলেন, যে অভিযোগে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তা একান্ত আমার ব্যক্তিগত জীবন। সংগঠন চাইলেই কারও ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারে এমন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। আমাকে কৌশলে মাইনাস করা হয়েছে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার নিজের মানুষ এসব কাজে জড়িত বলে সন্দেহ হচ্ছে। নাহলে আমার ব্যক্তিগত তথ্য ছড়াবার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, এ ঘটনার পর নাহিদ ভাই ও উমামা আপু আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু সাইবার মামলা বন্ধ থাকায় আমি মামলা করতে পারিনি। যেখানে কেন্দ্রীয় সবাই আমার পাশে ছিলো সেখানে মহানগর থেকে কেউ আমার পাশে দাঁড়ায়নি। উল্টো আমাকে অব্যাহতি দিয়ে সদস্যসচিব কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আমাকে গতকাল জানানো হয়েছে আমি অশ্লীলতা ছড়াচ্ছি এবং আজকে এই সিদ্ধান্ত। আমার মনে হয় আমি কোনো অশ্লীলতা ছড়াইনি। আর যেহেতু উনারা কেন্দ্রের দোহাই দিচ্ছেন আমিও কেন্দ্রেই আলাপ করবো।
অপরদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি বিবৃতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগরের সংগঠক শাহরিয়ার শিকদার ও মহানগরের যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল বাছির নাইমকেও বহিষ্কার করা হয়।