ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবগত পাঁচ কর্মকর্তার বরাতে গতকাল শনিবার এই প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ। পুনর্বাসন পরিকল্পনা সম্পর্কে সরাসরি অবগত তিন কর্মকর্তার বরাতে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, গাজাবাসীর স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বর্তমান প্রশাসন। লিবিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন ওই তিন কর্মকর্তা। তারা বলেন, ফিলিস্তিনিদের গ্রহণে সম্মত হওয়ার বিনিময়ে লিবিয়ার জব্দ করা বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এক দশকেরও বেশি সময় আগে লিবিয়ার শত শত কোটি ডলার আটকে দেওয়া হয়।
তবে দুপক্ষের মধ্যে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন ওই তিন ব্যক্তি। এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া পুরো বিষয়টি বাস্তবায়ন কবে নাগাদ হতে পারে, সে বিষয়েও কোনো আভাস পাওয়া যায়নি প্রশাসনের কাছ থেকে। এই প্রতিবেদন তৈরির আগে একাধিকবার অনুরোধ সত্ত্বেও, এনবিসির কাছে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক সরকারি কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, এনবিসির প্রতিবেদনের দাবিগুলো সত্য নয়।
হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের লিবিয়ায় পুনর্বাসনের কোনো পরিকল্পনা নিয়ে তারা অবগত নন। গাজা শাসন করা এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজাবাসীর পুনর্বাসন নিয়ে বক্তব্য দিয়ে এনবিসির অনুরোধে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলি সরকার। এদিকে, লিবিয়া নিজ দেশের নাগরিকদেরই পর্যাপ্ত সেবা দিতে পারছে না। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দেবেইবাহ এবং পূর্বাঞ্চলে খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত। ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে লিবিয়া কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পায়নি এনবিসি নিউজ।
