ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিয়ের আট দিনের মাথায় স্বামীকে স্ত্রী খুন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সালিশ বৈঠক শেষে শাকিল নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন।
গত শুক্রবার গভীর রাতে আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদ পাড়ায় স্ত্রী জান্নাত আক্তারের (২৩) হাতে খুন হন স্বামী মো. হাসান মিয়া (২৮)। পুলিশ অভিযুক্ত জান্নাতকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাত হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। নিহত হাসানের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি আখাউড়া পৌরসভার মসজিদ পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। আটক জান্নাতের বাড়ি আখাউড়া পৌরসভার শান্তিনগর গ্রামে।
পুলিশ গতকাল শনিবার ভোরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন আটক জান্নাতের বরাত দিয়ে জানান, গত ৯ মে তাদের বিয়ে হয়। আরেকটি ছেলের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শুক্রবার রাতে জান্নাত স্বামীকে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে বালিশচাপা দিয়ে তাকে হত্যা করেন।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে সালিশ বৈঠক শেষে শাকিল নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিটেস্বর ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় বরকোটা এলাকার জাকির হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে। বিটেস্বর গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে নিহত শাকিল (২৯) বিটেস্বর বাজারে কসাইয়ের কাজ করতেন।
সালিশে উপস্থিত ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, বরকোটা এলাকার মোটরসাইকেলচালক এবং বিটেস্বর এলাকার অটোরিকশাচালকের মধ্যে গত বুধবার ঝগড়া হয়। ঝগড়ার বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় আমরা সালিশ করি। সালিশের পর সন্ধ্যায় আমরা চলে যাই।
নিহত শাকিলের ফুপাতো ভাই আকাশ বলেন, শাকিল বিটেস্বর বাজারে কসাইয়ের কাজ করত। ওই অটোরিকশাচালক তার চাচাতো ভাই। সালিশ শেষে কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং ছুরি দিয়ে জখম করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঢাকায় পাঠানো হলে পথেই মারা যায়।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিটেস্বর এলাকায় সালিশ বৈঠক শেষে মারামারির ঘটনায় শাকিল নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।